ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন ২৩৩ কৃতি শিক্ষার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • ২৭৯ বার

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ করে দিয়েছি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয় সে দিকে সকলের নজর দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ মনিটরিং করতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন-১৯৭৩’ সংশোধন করার কাজ চলছে। আসলে মঞ্জুরি কমিশন যে অবস্থায় আছে তা দিয়ে ১৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরদারিতে রাখা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৩ ও ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ সব কথা বলেন।

দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হয় সরকারি, না হয় বেসরকারি হবে। তবে, অবশ্যই এটা মানসম্পন্ন হতে হবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বেসরকারিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যারা অনুমতি চাইতে আসেন, তখন আমি নিজেই এক একটি জেলা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরে খেয়ে বাবা-মার সঙ্গে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন বা পুরনো যে কলেজগুলো আছে সেগুলি সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। এভাবে এ পর্যন্ত ৩৬৫টি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করেছি।

শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল গতকালই আমরা শিক্ষা খাতের উন্নয়নে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে ব্যয় সম্পন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ টাকায় প্রি-প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং গতকালের অধিকাংশ প্রকল্পই অনুমোদিত হয়েছে শিক্ষা বিষয়ক। যেহেতু শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প- এ জন্য যত টাকাই লাগুক আমরা অনুমোদন করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধিকে তার একটা বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পগুলো শেষ হতে প্রায় ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এর ফলে প্রি-প্রাইমারী থেকে উচ্চশিক্ষা খাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলো সবই মানোন্নয়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে জেনিফার হাকিম লুপিন এবং স্বজন রহমান তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শীর্ষস্থান অধিকার করা কৃতি ২৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইউজিসি পদত্ত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৫৬ জনের হাতে পদক তুলে দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠাগণ, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ এবং স্বর্ণজয়ী শিক্ষাথীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেলেন ২৩৩ কৃতি শিক্ষার্থী

আপডেট টাইম : ০৭:০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ করে দিয়েছি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয় সে দিকে সকলের নজর দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ মনিটরিং করতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন-১৯৭৩’ সংশোধন করার কাজ চলছে। আসলে মঞ্জুরি কমিশন যে অবস্থায় আছে তা দিয়ে ১৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরদারিতে রাখা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৩ ও ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ সব কথা বলেন।

দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হয় সরকারি, না হয় বেসরকারি হবে। তবে, অবশ্যই এটা মানসম্পন্ন হতে হবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বেসরকারিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যারা অনুমতি চাইতে আসেন, তখন আমি নিজেই এক একটি জেলা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরে খেয়ে বাবা-মার সঙ্গে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন বা পুরনো যে কলেজগুলো আছে সেগুলি সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। এভাবে এ পর্যন্ত ৩৬৫টি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করেছি।

শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল গতকালই আমরা শিক্ষা খাতের উন্নয়নে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে ব্যয় সম্পন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ টাকায় প্রি-প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং গতকালের অধিকাংশ প্রকল্পই অনুমোদিত হয়েছে শিক্ষা বিষয়ক। যেহেতু শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প- এ জন্য যত টাকাই লাগুক আমরা অনুমোদন করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধিকে তার একটা বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পগুলো শেষ হতে প্রায় ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এর ফলে প্রি-প্রাইমারী থেকে উচ্চশিক্ষা খাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলো সবই মানোন্নয়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে জেনিফার হাকিম লুপিন এবং স্বজন রহমান তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শীর্ষস্থান অধিকার করা কৃতি ২৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইউজিসি পদত্ত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৫৬ জনের হাতে পদক তুলে দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠাগণ, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ এবং স্বর্ণজয়ী শিক্ষাথীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।