সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এ উত্থানের মাত্রা ছিল খুবই সামান্য। দিনের শুরুতে উত্থান থাকলেও ৪০ মিনিট পর আর্থিক ও বীমা খাতের ব্যাপক সেল প্রেসারে কমতে থাকে সূচক এবং শেষ দিকে ক্রয় চাপে সূচকে সামান্য উত্থান ঘটে।
এদিন সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে ৯৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১০৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির শেয়ারের দাম।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০৫ পয়েন্টে। আর ডিএস ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ৬১ পয়েন্টে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসইতে ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭০৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।