আপনার বয়স কি ৩৫ ছাড়িয়েছে? আপনি কি এখন মা হওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে এখনি সতর্ক হয়ে যান!
জানেন তো বেশি বয়সে মা হতে চাইলে নানা সমস্যা হওয়ার আশংকা থাকে। আর সে বিষয়ে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। নইলে কিন্তু বিপদ!
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১২ সালের পর থেকে ৩৫ বছরের পর মা হওয়ার হার প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেশিরভাগ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, বেশি বয়সে মা হতে চাইলে নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে তো পরিস্থিতি খুব জটিল আকার নেয়ার আশংকাও থাকে।
এ বিষয়ে একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, ৩৫ বছরের পর বেশিরভাগ নারীর শরীরে অক্সিটকিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়।
অক্সিটোকিন হরমোনের একাধিক কাজ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রসবের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়া। এই হরমোনের ক্ষরণ যত বেশি হবে, তত বাচ্চার ডেলিভারি সহজে হবে।
আর ৩৫ বছরের পর নারীদের এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রসবকালীন নানা অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করে।
৩৫ বছরের পরে নারীদের শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষরণের হারও কমে যায়।
প্রেগনেন্সির সময় ভ্রূণের প্রতিস্থাপনকে সহজ করতে সাহায্য করে প্রজেস্টেরন হরমোন। শুধু তাই নয় লেবারের সময় পেলভিকের দেয়ালকে মজবুত করতেও এই হরমোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাহলে সব শেষে এটা বলতেই হয়, উপরে আলোচিত এই দুটি হরমোনের ক্ষরণ যত কমে যাবে, গর্ভধারণে তত সমস্যা বাড়বে।
তাই এ বিষয়ে একটু সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ ৩৫ বছর বয়সের পর সন্তান নেয়াটা আপনার ভুল সিদ্ধান্তও হতে পারে।