রাজশাহীতে আহসান আলী ওরফে মুংলা (৭০) নামে এক ব্যক্তি শহীদ বড় ভাইয়ের নাম কেটে নিজের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বড় ভাই আনসার আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৮) বাদী হয়ে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা করেছেন।
নজরুল ইসলামের বাড়ি জেলার পবা উপজেলার বাগসারা নওদাপাড়া গ্রামে। তার চাচা আহসান আলী মুংলার বাড়িও একই গ্রামে। মামলায় চাচা মুংলা ছাড়াও পবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজশাহীর আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পরদিন বুধবার আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম তার এজাহারে বলেছেন, তার বাবা শহীদ আনসার আলীর নাম ১৯৯৯ সালের বাংলাদেশ মুক্তিবার্তায় ০৩০২০১০০৪৭ নম্বরে আছে। কিন্তু ২০০১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যে নামের তালিকা প্রকাশ হয়, সেখানে তার বাবার নামের পরিবর্তে চাচা আহসান আলীর নাম প্রকাশিত হয়।
নজরুল ইসলামের অভিযোগ, তার চাচা আহসান আলী জালিয়াতি করে তার বাবার নামের পরিবর্তে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকও এই জালিয়াতিতে তাকে সহায়তা করেছেন।
নজরুল ইসলামের দাবি, ২০১০ সাল পর্যন্ত তারা শহীদের সন্তান হিসেবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে এই সুবিধা ভোগ করছেন তার চাচা। অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় রাজাকারদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। একাত্তরের ৫ জুলাই রণাঙ্গন থেকে যখন তার বাবা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন তার চাচা আহসান আলীই হানাদার বাহিনীকে খবর দিয়ে তার বাবাকে হত্যা করান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মামলার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ জানান, আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা মামলার কাগজপত্র হাতে পাননি। কাগজপত্র পেলে তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করে মামলাটির তদন্ত শুরু করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।