ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐশীর আপিল শুনানি শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ২৭৯ বার

বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ১২ই নভেম্বর ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ। রায়ে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেয়া হয়। পরে ঐশীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একই বছরের ৬ই ডিসেম্বর ঐশী খালাস চেয়ে আপিল করেন। গতকাল শুনানির প্রথম দিনে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। ঐশীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। ২০১৩ সালের ১৬ই আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঐশীর আপিল শুনানি শুরু

আপডেট টাইম : ১১:৫৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ১২ই নভেম্বর ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ। রায়ে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেয়া হয়। পরে ঐশীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একই বছরের ৬ই ডিসেম্বর ঐশী খালাস চেয়ে আপিল করেন। গতকাল শুনানির প্রথম দিনে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। ঐশীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। ২০১৩ সালের ১৬ই আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেন।