স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।
স্পিকার ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশনস অর্গানাইজেশন (সিটিও) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ : প্রেক্ষিত সাইবার ক্রাইম , নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড র্শীষক দুইদিনব্যাপী আয়োজিত ওয়ার্কশপ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইন্টারনেট দেশ এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করছে। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মায়েরা বিদেশে অবস্থানরত প্রিয়জনদের সাথে ভাববিনিময় করতে পারছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাইবার ক্রাইম ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে টেলিকম রেগুলেটরি অ্যাক্ট-২০১০ যুগোপযোগী করেছে। তিনি বলেন আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালে আইসিটি অ্যাক্ট -২০০৬ এর সংশোধন হয়েছে। এতে সাইবার ক্রাইমের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল এবং ১০ মিলিয়ন টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, বর্তমান সরকার সাইবার সিকিউরিটি স্ট্রাটেজি-২০১৪ প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরো বলেন, সংসদ সদস্যগণ সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। তিনি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইসিটি বিশেষজ্ঞ ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থার জনবলকে সক্ষম করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জনারেল (অব.) আহসান হাবিব খানের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম, কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশনস অর্গানাইজেশন (সিটিও) এর সেক্রেটারি জেনারেল শোলা টেইলর এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তৃতা করেন ।