এটি বাড়ি বা পরিবেশের শোভা বর্ধনের জন্য বাগানের কোনো ফুল নয়। এ হলো একটি তেলবীজ শস্য। গ্রামের ভাষায় এর নাম ফুলবিচি। কৃষি বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় একে বলা হয় কুসুম ফুল।
এটি বাড়ি বা বাগানে চাষ হতো না। চাষ হতো কৃষিজমিতে। একসময় এর কদর ছিলও বেশ।
এ ফুলগাছের কাণ্ড, পাতা ও ফুলের কলিতে ছোট ছোট কাঁটা রয়েছে। ফুলের পাপড়ির রং সাতটি। ফুলে হলুদ ও লাল বর্ণের অপরূপ রং আর মিষ্টি ম-ম গন্ধ শুধু মানুষকেই আকৃষ্ট করে না, উপকারী কীটপতঙ্গকেও আকৃষ্ট করে।
এ শস্যফুলের গাছ আড়াই থেকে সাড়ে তিন ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এর কাণ্ড ও পাতার রং গাঢ় সবুজ। ফুলের কলি সাধারণত সবুজ হয়ে উঠলেও ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে এর রং পাল্টে যায়। ফুলের পাপড়ির হলুদ ও লাল রংই চোখে পড়ে বেশি। ফুলের কাছে গেলে অন্য রংগুলো চোখে ভেসে ওঠে।
জমিতে এ ফুল ফুটলে লাল-হলুদের অপরূপ সৌন্দর্যের অবতারণা হয়। মনে হবে কোনো ফুলবাগানে এসেছি। এ জন্য একসময় এটি জমির বেড়া হিসেবে জমিতে লাগানো হতো। আবার অনেক কৃষক পুরো জমিতে চাষ করে এর সাথি ফসল হিসেবে ওই জমিতে একই সঙ্গে মসুর, ভুট্টা, কালিমটর-জাতীয় ডালশস্য চাষ করা হতো।
এই প্রতিবেদনের সঙ্গের ছবিটি ঢাকার ধামরাই উপজেলার চরসুঙ্গর বংশী নদীর চরের কৃষক কোহিনূর ইসলামের জমি থেকে তুলেছেন ।