স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ভুলের সুনামি আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
রোববার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘সংকটের আবর্তে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।
আলোচনা সভায় রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ভয়াবহ যেসব ভুল ধরা পড়েছে সেসবকে আমি সুনামি বলব। ২০১৩ সালের পাঠ্যবইয়েও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। এবারের পাঠ্যবই দেখে মনে হয়েছে, যেন সরাসরি ভুলের সুনামি আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন, পাঠ্যবই থেকে ১৭টি প্রবন্ধ বাদ দেওয়া হয়েছে। এর দায়ভার কেউ নিচ্ছে না। এ কারণে এ জায়গায় আরো বেশি ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবারের পাঠ্যবইয়ে তথ্য বিভ্রাট করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো লেখকের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে হোফজতিকরণ করা হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, যে দেশে বিরোধী দল নেই, সে দেশে নাগরিক সমাজের কথা সরকার কীভাবে শুনবে। এ কারণেই বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় এতো ত্রুটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, বলেন, ২০১৬ সালের শিক্ষা আইন হয়েছে, তা দেখলে মনের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। এই শিক্ষা আইনের অনেক কিছুই বোঝা যায় না। এতে শিক্ষার সমস্যা জটিল এবং গভীর হয়েছে।