নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ২০ দলের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের সঙ্গে সংলাপে সব দলের মধ্যে ঐক্যের তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি এও বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বে তরুণরা এলে দেশে বিভেদ থাকবে না্।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপের জন্য সোমবার বিকাল চারটায় চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ন্যাপের ১১ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যায়। আধা ঘণ্টার মতো বৈঠকে ন্যাপ ১১ দফা প্রস্তাব ও পাঁচটি সুপারিশ করে।
এসময় রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত গড়ার আহ্বান জানান বলে ন্যাপ নেতারা জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ন্যাপ প্রধান বলেন, শুধু শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন হলেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। এ বিষয়টি আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলে এসেছি।
রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া ন্যাপের প্রস্তাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১. সব নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করা, ২. নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা, ৩. নির্বাচন কমিশনকে বছরে অন্তত তিন বার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা, ৪. নির্বাচনী প্রচারণায় দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর কোনো বিধিনিষেধ না রাখা, ৫, রাজনৈতিক দলগুলো সাথে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের বিবরণী প্রকাশ।
প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারওয়ার খান, সাদ্দাম হোসেন, মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান মনির এনায়েত মল্লিক, ফারহানুল হক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক শহীদুননবী ডাবলু ও কামাল ভূঁইয়া।