ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পকে হুমকি চীনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭
  • ৩১২ বার

যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি’ থেকে সরে আসলে চীন ‘প্রতিশোধ’ নেবে বলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‌চীনা ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের হিউসটনে বিতর্কিত যাত্রাবিরতি নেওয়া এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠক করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই চীন এ হুঁশিয়ারি দিল। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

‌রবিবার হিউস্টনে মার্কিন রিপাবলিকানদের সঙ্গে দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ ওয়েন। মধ্য আমেরিকা যাওয়ার পথে হিউসটনে যাত্রাবিরতি করেন সাই। তিনি হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা এবং এল সালভেদর সফর করবেন। তাইওয়ানে ফেরার পথে ১৩ জানুয়ারিতে সান ফ্রান্সিসকোতেও থামবেন।

বেইজিং কর্তৃপক্ষ এক চীন নীতির আওতায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাইকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক কোনো সরকারি বৈঠক করতে না দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে আগেই আহ্বান জানিয়েছিল। এরপরও হিউসটনে যাত্রবিরতি করে রিপাবলিকান পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে সাইয়ের সাক্ষাৎ মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেনি চীন।

রবিবার গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এক চীন নীতিতে অটল থাকার কথা বলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কাছে চীনের কোন অনুরোধ নয়। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক রক্ষা করে চলা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মান মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা এ নীতি মেনে চলতে বাধ্য।

সাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজও তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, ‘কার সঙ্গে দেখা করব বা করব না সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিই। এতে চীন নাক গলাতে পারে না। তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেই ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি ছাড় না দিলে, তাইওয়ানকে নিয়ে বেইজিংকে সমর্থন করার অর্থ হয় না।’

তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে ‘এক দেশ নীতি’ চালু করে চীন। তাতে সমর্থন জানিয়ে ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ট্রাম্প প্রথম থেকেই বেসুরো। নির্বাচনে জেতার পর নিয়ম ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসি়ডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।

গ্লোবাল টাইমস বলছে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর এক চীন নীতি থেকে সরে গেলে চীনের জনগণ সরকারকে এর প্রতিশোধ নেয়ার দাবি জানাবে। বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পকে হুমকি চীনের

আপডেট টাইম : ১২:২৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি’ থেকে সরে আসলে চীন ‘প্রতিশোধ’ নেবে বলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‌চীনা ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের হিউসটনে বিতর্কিত যাত্রাবিরতি নেওয়া এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠক করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই চীন এ হুঁশিয়ারি দিল। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

‌রবিবার হিউস্টনে মার্কিন রিপাবলিকানদের সঙ্গে দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ ওয়েন। মধ্য আমেরিকা যাওয়ার পথে হিউসটনে যাত্রাবিরতি করেন সাই। তিনি হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা এবং এল সালভেদর সফর করবেন। তাইওয়ানে ফেরার পথে ১৩ জানুয়ারিতে সান ফ্রান্সিসকোতেও থামবেন।

বেইজিং কর্তৃপক্ষ এক চীন নীতির আওতায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাইকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক কোনো সরকারি বৈঠক করতে না দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে আগেই আহ্বান জানিয়েছিল। এরপরও হিউসটনে যাত্রবিরতি করে রিপাবলিকান পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে সাইয়ের সাক্ষাৎ মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেনি চীন।

রবিবার গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এক চীন নীতিতে অটল থাকার কথা বলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কাছে চীনের কোন অনুরোধ নয়। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক রক্ষা করে চলা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মান মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা এ নীতি মেনে চলতে বাধ্য।

সাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজও তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, ‘কার সঙ্গে দেখা করব বা করব না সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিই। এতে চীন নাক গলাতে পারে না। তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেই ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি ছাড় না দিলে, তাইওয়ানকে নিয়ে বেইজিংকে সমর্থন করার অর্থ হয় না।’

তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে ‘এক দেশ নীতি’ চালু করে চীন। তাতে সমর্থন জানিয়ে ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ট্রাম্প প্রথম থেকেই বেসুরো। নির্বাচনে জেতার পর নিয়ম ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসি়ডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।

গ্লোবাল টাইমস বলছে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর এক চীন নীতি থেকে সরে গেলে চীনের জনগণ সরকারকে এর প্রতিশোধ নেয়ার দাবি জানাবে। বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।