গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন নিজ বাসভবনে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৌনে ৬টায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. বিমল চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের জানান, এমপি লিটনকে বাঁচানোর চেষ্টায় সফল হন নি।
রংপুর ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দিবাকর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল রাজুও কালের কণ্ঠকে লিটনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহাবাজ এলাকার নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন লিটন। এ সময় ৩ যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে এসে তাকে ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। লিটনের বুকের দুইদিকে ২টি গুলি ও একটি পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা জানিয়েছেন এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদা জাহান স্মৃতি।
এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদা জাহান স্মৃতি কালের কণ্ঠকে বলেন, আজ বিকেলের দিকে লিটন নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড়ির নীচতলায় বৈঠক করছিলেন। এ সময় ৩ যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনে এসে থামে। একজন মোটর সাইকেল স্টার্স্ট দিয়ে বসে থাকে। অপর দুইজনের মধ্যে একজন লিটনকে লক্ষ্য করে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ৩ যুবকই হেলমেট পরা অবস্থায় ছিল বলে জানান স্মৃতি।
লিটনকে দ্রুত উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই তার মৃত্যু হয় বলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান।
ঘটনার পর লিটন সমর্থকরা বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
ঘটনার বিষয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাংসদের স্ত্রী ফোন করে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এক শিশুকে গুলি করে গত বছর দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিলেন লিটন। ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোপালচরণ গ্রামের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করেন তিনি।