দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও আলাদা শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারের সদস্যদের সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
জাতীয় সংসদে বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ১৯৮৪ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এ অধ্যাদেশটি বাতিল করে একটি হালনাগাদ আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনের অধিনে প্রণীত বিধি দ্বারা দেশে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর সকল প্রকার প্যাথলজি টেস্টেও ফি নির্ধারণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পারিবারিক ও সামাজিকসহ নানা কারণে অনেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। দেশে ১৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে নিম্নমানের ওষুধ যাতে কোন অবস্থাতেই দেশীয় বাজারে বাজারজাতকরণ ও বিক্রি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থান অবলম্বন করছে। নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে ৩১টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও আনুমানিক ১১ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে এ পর্যন্ত ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং ১৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ৩১টি পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করাসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।