সচেতন মানুষরা স্বাস্থ্যকর খাবার খান। অনেকে পুষ্টি বিজ্ঞানীদের পরামর্শক্রমে খাদ্য তালিকা তৈরি করে নেন।
তবে যত তালিকাই হোক না কেন, ছুটির দিন বা বিশেষ উপলক্ষে খাদ্যসূচি এলোমেলো হয়েই যায়। কখনো ভেবেছেন, যারা এসব সুষম খাবারের তালিকা প্রস্তু করে দেন তারা কি কি খান? নিশ্চয় তারা সুষম তালিকাই বেছে নেন। কিন্তু ছুটি বা বিশেষ উপলক্ষে তাদের খাদ্য বাছাই কেমন হয়?পুষ্টি বিশারদদের খাদ্য তালিকার কথা জানতে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বিষয়ক লেখিকা লেহ ওয়েনগাস। পরিবারের নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের বাইরে তারা কি ধরনের খাবার খান? এখানে জানিয়েছেন তিনি।
১. তারা ডেজার্ট খান: সব পুষ্টি বিজ্ঞানী আপনার চিনিপূর্ণ ডেজার্ট এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি বিশেষ উপলক্ষেও মজার এসব খাবারের লোভ সামলাতে বলেন তারা। কিন্তু ‘দ্য টুডে শো’ এর পুষ্টি বিজ্ঞানী জয় বাউয়ার জানান, বাইরে গেলে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। তাই বলে যে মজার কিছুই খাওয়া যাবে না এমন কোনো কথা নেই। তবে যেখানে যাই সেখানকার স্থানীয় মজার কোনো খাবার বেছে নিই। এটা উপভোগ্য হয়, আবার স্মৃতিতেও থাকে।
২. ফল-সবজি বাদ যায় না: বিশেষ উপলক্ষে যাই থাক না কেন, ফল বা সবজি বাদ দেন না পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ক্যাথিরিন ব্রুকিং। ছুটির দিন বা বাইরে ঘুরতে গেলেও মনের মতো খাবারের সঙ্গে এগুলো থাকেই। যে সবজি সবেমাত্রা বা কিছুক্ষণ আগে রান্না করা হয়েছে, সেই টাটকা সবজি খাই।
৩. দিন একবার ভরপেট খাবার: শুধু উপলক্ষেই নয়, এমনিতেই দিনে একবার ভরপেট খাবার খেয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। ‘ইয়ংগার নেক্সট উইক’ এর লেখক এবং পুষ্টি বিজ্ঞানী এলিসা জিয়েদ জানান, হয় দুপুরে কিংবা রাতে পেটপুরে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়াই ভালো। অবশ্য দুই-একটি মনের মতো পদ থাকা দোষের কিছু নয়। তা ছাড়া বাদাম জাতীয় খাবার একটু বেশি খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
৪. নতুন কিন্তু স্বাস্থ্যকর: বিশেষ রেসিপি সব সময় খাওয়া হয় না। তাই ছুটির দিন বা কোথাও ঘুরতে গেলে নতুন রেসিপি উপভোগ করা উচিত, বলেন সুসান মিচেল। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, কোথাও গেলে সেরা রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করি। সেখানকার বাজার ঘুরে দেখি। স্থানীয় খাবার সম্পর্কে ধারণা হয়ে যায়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে নতুন কোনো রেসিপি বেছে নিই। আর বাড়িতে ছুটি কাটালে নতুন রেসিটি রান্নার চেষ্টা করি। এসব খাবারে উপকরণেই বোঝা যাবে তা কতটা পুষ্টিকর হবে। মাছ, সবজি বা ফলের সমন্বয়ে যেকোনো নতুন রেসিপি পুষ্টিকর হয়।
৫. সব সময় বাইরে নয়: ছুটি বা উপলক্ষ মানেই যে বাইরে খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বাড়িতে রান্না করা যায়। অনেক গবেষণায় বল হয়, আপনি যত বেশি বাইরে খাবেন, ওজন ও স্বাস্থ্য ধরে রাখা তত বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। বাইরে অল্প খাওয়ার চেয়ে বাড়িতে অনেক বেশি খাওয়া উত্তম। সম্ভব হলে তিন বেলাই বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পুষ্টিবিদরা যতটা সম্ভব বাড়িতে রান্না করা খাবারই খেয়ে থাকেন। শস্য দানায় তৈরি, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, সেদ্ধ ডিম, পনির বা দই খাওয়া যেতে পারে ইচ্ছামতো। এগুলো বেছে নিনে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন না তারা। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট