স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নার্সদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হাসপাতালে যে রোগীরা আসবে তাদেরকে বাবা-মা, ভাই-বোন মনে করে সেবা দিতে হবে। সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে হবে। রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে নবনিযুক্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুভাষ চন্দ্র সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোস্তফা সারোয়ার এবং নবনিযুক্ত নার্স ফেরদৌসী আক্তার বক্তব্য রাখেন।
মহান বিজয়ের মাসে প্রায় ১০ হাজার নার্স নিয়োগ জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চায়। তিনি বর্তমান সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যখাতের অর্জনকে আরো উচ্চতায় নিতে চিকিৎসক, নার্সসহ সকলের মধ্যে সেবার মনোভাব জাগ্রত করতে হবে।
দেশের মানুষের সেবাই নার্সদের প্রধান দায়িত্ব, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য থেকে নার্সদের বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হওয়া চলবে না। কেননা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার প্রতিটি পয়সা এ দেশের সাধারণ মানুষের। ‘তাই আপনারা রোগীদের মায়ের আদর, বোনের ভালবাসা নিয়ে সেবা দিবেন। প্রধানমন্ত্রী নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরি মর্যাদা দিয়েছেন। সেই মর্যাদা ধরে রাখতে হলে রোগীর সেবা ভিন্ন অন্য কোনো পথ নেই।’
এর আগে মন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন যোগদানকৃত নার্সদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন এবং সঠিক ভাবে রোগীদের সেবা দিতে নার্সদের নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে তিনি মিডওয়াইফারি সার্টিফিকেট কোর্সের ১ম ব্যাচের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী রাজশাহী নার্সিং কলেজের নাসিমা খাতুনের হাতে সনদ তুলে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর সারদেশে নতুন ৯ হাজার ৪৭৮ সিনিয়র স্টাফ নার্স বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যোগদান করে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার নার্স নিয়োগের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এতো সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্য দিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নার্স সংকটের সমাধানের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।