জেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে ২২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার বিকালে এই নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ফরহাদ আহাম্মদ জানান, রবিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। আজ ৩৯ জেলায় ১২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আজ থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলে কমিশন সূত্র জানায়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যাঁরা
নারায়ণঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সিগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে দুই হাজার ৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর বুধবার প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।