অনেকের ইচ্ছে থাকে বলিউড-হলিউড দাপিয়ে বেরনো নায়কদের মতো পেশীবহুল শরীরের অধিকারী হওয়ার৷ কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? সুন্দরী মহিলাদের কাছে আকর্ষনী হয়ে ওঠার মতো শরীর কিন্তু গড়ে তোলা যায় খুব সহজেই৷ তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি টিপস! এই সহজপাঠ নিয়ে লিকলিকে শরীরকে গড়ে তুলতে পারবেন সালমন কিংবা ইমরান হাসমির মতো!
টিপস– ১: খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ফ্যাট জাতীয় খাবার আবার স্বাস্থ্যকর হয় কী করে? অবাক হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবারগুলি হচ্ছে ডিমের কুসুম, নারকেল ইত্যাদি। এসব খাবারে রয়েছে মাঝারি আকারের কার্বন শিকল যা সহজেই বিপাকযোগ্য। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার হচ্ছে গরু, খাসির মাংস।
টিপস– ২: বাড়িয়ে ফেলুন প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ
একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের কর্মক্ষম মানুষের প্রতিদিন প্রতিকেজি ওজনের জন্য দুই গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন৷ অর্থাৎ কারও ওজন যদি হয় পঞ্চাশ কেজি, তবে দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা একশ গ্রাম।
মনে রাখা প্রয়োজন, দৈহিক ক্ষয়পূরণের পর অতিরিক্ত প্রোটিন পেশিতে জমা হয়। তাই যারা সুন্দর পেশীবহুল বডি বানাতে চান, ব্যায়ামের পাশাপাশি ডিম, দুধ, মাছ, শিমের বীচি, বাদাম ও ডাল জাতীয় খাবার খান।
টিপস– ৩: খেতে হবে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাদ্য
খেতে হবে ক্যালরিবহুল খাবার। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কলা। একটি কলাতে থাকে প্রায় ১০০ ক্যালরি, এক পিস পনীরে থাকে ৭০ ক্যালরি সেইসঙ্গে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাট ও কোলেস্টেরল। প্রতিটি গমের রুটিতে থাকে প্রায় ৬৯ ক্যালরি।
টিপস– ৪: প্রতিদিনের রুটিনে আনুন পরিবর্তন
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েকটি মিষ্টি ফল খান। তার মধ্যে হতে থাকতে পারে আপেল, আম, কলা, কমলা, ডালিম। নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া ভালো স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি৷
টিপস– ৫: খাদ্যাভাসে আনুন পরিবর্তন
প্রতিদিন দুপুর বা রাতের খাবারের পর খেতে পারেন মিষ্টি দই। প্রতিদিন মিষ্টি দই খেলে দ্রুত ওজন বাড়বে। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাবেন।
টিপস– ৬: গ্রহণ করতে পারেন কিছু হেলথ সাপ্লিমেন্ট
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে খেতে পারেন কিছু হেলথ সাপ্লিমেন্ট৷ যেমন মাল্টি ভিটামিন, আয়রন , ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
টিপস– ৭: রান্নায় আনুন বৈচিত্র্য
এক রেসিপি প্রতিদিন খেলে তার স্বাদে বিরক্তি এসে যায়। তাই রান্নায় বৈচিত্র্য আনা খুব জরুরি। প্রতি দুপুরের খাবারের স্বাদ বাড়াতে যোগ করতে পারেন সস, আচার-চাটনি।
টিপস– ৮: কিছু অভ্যাসকে দিন বিদায়
কফি ও চা খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবারের পরপরই চা কফি খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন। কেননা খাবার গ্রহণের পরপরই চা কফি খেলে, তা মিনারেল গ্রহণের হারকে কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে খাবারের আয়রন দেহ শোষণ করতে পারে না।