আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বদরুল আলম। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে সাক্ষ্য শুরু হয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১৪ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
আজ রোববার সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এ উপলক্ষে বদরুলকে আদালতে উপস্থিতকালে সাংবাদিকদের দেখে তিনি উচ্চ স্বরে এ কথা বলেন।
চলতি মাসের ৫ তারিখ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে
বদরুলকে হাজির করা হয়েছিল। আদালতে নেওয়ার সময় তিনি সাংবাদিক দেখে কথার বলার আকুতি জানিয়েছিলেন। প্রথম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বদরুলকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘মিডিয়ার সঙ্গে আমার কথা আছে। আমাকে বলার সুযোগ দিন।’
আদালত সূত্র জানায়, ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, আহত অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কলেজশিক্ষার্থী ইমরান কবির ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়েছেন।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক (বর্হিস্কৃত) বদরুল আলম।