আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে এ পর্যন্ত ১৫ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১১ ডিসেম্বর। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের একক প্রার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে।
এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ১২ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ জেলাগুলো হচ্ছে- গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, নেত্রকোনা, যশোর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি ও ভোলা।
এছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একাই বৈধ প্রার্থী হিসেবে থাকেন। একই দিন বরগুনার জেলা পরিষদেও এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ফলে সেখানে একমাত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীই এখন বিজয়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন।
রোববার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) চেয়ারম্যান নারায়ণ রক্ষিত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম এখন ওই জেলা পরিষদের একমাত্র প্রার্থী। এর ফলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হচ্ছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সব মিলিয়ে ৬১ জেলা পরিষদের মধ্যে ১৫ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিনা ভোটে চেয়ারম্যান ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। এর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বাদ দিয়ে সারা দেশে ৬১ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ভোট হবে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বাদ দিয়ে সারা দেশে ৬১ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ভোট হবে।