ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার মেশিনে নয়, হাতে ভোট পুনর্গণনার দাবি হিলারির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৩৬৯ বার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার জন্য মেশিনে নয় হাতে ভোট পুনর্গণনার দাবিকেই সমর্থন জানিয়েছেন।

গ্রিন পার্টির নেত্রী জিল স্টেইনের উদ্যোগে সামিল হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎপরতা শুরু করেছেন হিলারি ক্লিনটন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ৩০ লাখসহ অন্য অঙ্গরাজ্যের ভোট মেশিনের বদলে হাতে পুনর্গণনার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।

গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের উদ্যোগে উইসকনসিনে বোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়। মেশিনের বদলে হাতে ভোট পুনর্গণনার আদেশ চেয়ে আদালতের শরণাপন্নও হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার হিলারির অ্যাটর্নি জশুয়া কাউল জানিয়েছেন, হিলারি হাতে ভোট গণনাকে সমর্থন করেন। ওই অ্যাটর্নি বলেন, স্টেইনের মতো হিলারিও বিশ্বাস করেন অপটিক্যাল স্ক্যানার দিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভোট গণনার চেয়ে হাতে ভোট গণনার পদ্ধতি ভালো। অথচ রাজ্যের ৯০ শতাংশ কাউন্টিতে ভোট গণনায় অপটিক্যাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়।

মেডিসনভিত্তিক

ক্যাপিট্যাল টাইমসকে জশুয়া বলেন, ‘উইসকনসিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবগুলো ব্যালট ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে গণনার জন্য আদেশ জারি করাকে জরুরি বলে মনে করেন হিলারি ক্লিনটন।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ম্যাডিসনের আদালতে স্টেইনের আবেদনের ব্যাপারে শুনানি হয়। সেসময় হাত দিয়ে ভোট গণনাকে সময়সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করে উইসকনসিন কর্তৃপক্ষ। আর হাতে ভোট গণনা করে ১২ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে গণনা শেষ হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

উইসকনসিনে হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে খুবই কম ব্যবধানের জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে পুনর্গণনায় উইসকনসিনের ফলাফল পাল্টে গেলেই যে হিলারি জিতে যাবেন তা নয়। এর জন্য মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার ফলাফলের ওপরও নির্ভর করবে। এ দুই অঙ্গরাজ্যেও ব্যবধান খুব কম। উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে ইলেক্টোরাল ভোট ছিল যথাক্রমে ১০,১৬ ও ২০।

৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করে হিলারিকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে উইসকনসিন,মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া এই তিন রাজ্যের ফলই তার পক্ষে যেতে হবে। কারচুপির অভিযোগ ওঠা তিনটি অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদনের খরচ মেটানোর জন্য জিল স্টেইন অনলাইনে যে ফান্ড খুলেছেন সেখানে ৬৫ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন,‘জিল স্টেইন ভোট পুনর্গণনার নামে আসলে নিজের কোষাগার মজবুত করছেন। কারণ এর জন্য তিনি সমর্থকদের কাছ থেকে অনুদান নিচ্ছেন।’

তিনি জিল স্টেইনের প্রতি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ ও কলুষিত না করে তাকে সম্মান দেখানো উচিত।’

এদিকে, ভোট পুনর্গণনার এই আবেদনকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল কলেজে ট্রাম্প জয়ী হলেও পপুলার ভোট বা জনগণের ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এবার মেশিনে নয়, হাতে ভোট পুনর্গণনার দাবি হিলারির

আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার জন্য মেশিনে নয় হাতে ভোট পুনর্গণনার দাবিকেই সমর্থন জানিয়েছেন।

গ্রিন পার্টির নেত্রী জিল স্টেইনের উদ্যোগে সামিল হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎপরতা শুরু করেছেন হিলারি ক্লিনটন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ৩০ লাখসহ অন্য অঙ্গরাজ্যের ভোট মেশিনের বদলে হাতে পুনর্গণনার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।

গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের উদ্যোগে উইসকনসিনে বোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়। মেশিনের বদলে হাতে ভোট পুনর্গণনার আদেশ চেয়ে আদালতের শরণাপন্নও হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার হিলারির অ্যাটর্নি জশুয়া কাউল জানিয়েছেন, হিলারি হাতে ভোট গণনাকে সমর্থন করেন। ওই অ্যাটর্নি বলেন, স্টেইনের মতো হিলারিও বিশ্বাস করেন অপটিক্যাল স্ক্যানার দিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভোট গণনার চেয়ে হাতে ভোট গণনার পদ্ধতি ভালো। অথচ রাজ্যের ৯০ শতাংশ কাউন্টিতে ভোট গণনায় অপটিক্যাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়।

মেডিসনভিত্তিক

ক্যাপিট্যাল টাইমসকে জশুয়া বলেন, ‘উইসকনসিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবগুলো ব্যালট ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে গণনার জন্য আদেশ জারি করাকে জরুরি বলে মনে করেন হিলারি ক্লিনটন।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ম্যাডিসনের আদালতে স্টেইনের আবেদনের ব্যাপারে শুনানি হয়। সেসময় হাত দিয়ে ভোট গণনাকে সময়সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করে উইসকনসিন কর্তৃপক্ষ। আর হাতে ভোট গণনা করে ১২ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে গণনা শেষ হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

উইসকনসিনে হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে খুবই কম ব্যবধানের জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে পুনর্গণনায় উইসকনসিনের ফলাফল পাল্টে গেলেই যে হিলারি জিতে যাবেন তা নয়। এর জন্য মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার ফলাফলের ওপরও নির্ভর করবে। এ দুই অঙ্গরাজ্যেও ব্যবধান খুব কম। উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে ইলেক্টোরাল ভোট ছিল যথাক্রমে ১০,১৬ ও ২০।

৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করে হিলারিকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে উইসকনসিন,মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া এই তিন রাজ্যের ফলই তার পক্ষে যেতে হবে। কারচুপির অভিযোগ ওঠা তিনটি অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদনের খরচ মেটানোর জন্য জিল স্টেইন অনলাইনে যে ফান্ড খুলেছেন সেখানে ৬৫ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন,‘জিল স্টেইন ভোট পুনর্গণনার নামে আসলে নিজের কোষাগার মজবুত করছেন। কারণ এর জন্য তিনি সমর্থকদের কাছ থেকে অনুদান নিচ্ছেন।’

তিনি জিল স্টেইনের প্রতি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ ও কলুষিত না করে তাকে সম্মান দেখানো উচিত।’

এদিকে, ভোট পুনর্গণনার এই আবেদনকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল কলেজে ট্রাম্প জয়ী হলেও পপুলার ভোট বা জনগণের ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারি।