নরসিংদীতে বরফকল শ্রমিক আইযুব মিয়া (২৮) হত্যা মামলায় ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সুজন ওরফে বাঘা সুজন, নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়ার সোহাগ চন্দ্র দাস, বৌয়াকুড়ের সাদ্দাম, সমীর চন্দ্র দাস ও বিমল এবং চাঁদপুরের মতলবের এরশাদ। আসামীরা সবাই পলাতক আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আইয়ুব মিয়া শহরের বৌয়াকুড়ের একটি বরফকলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৮ সালের ২৯ আগষ্ট বরফকলের চাকুরিচ্যুত শ্রমিক টাইগার সুজন তাকে বেড়ানোর কথা বলে মেঘনা নদীতে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়।পরদিন দামের ভাওলা গ্রামে নিখোঁজ আইয়ুবের মাথাবিহীন লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবদুল হেকিম সরকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, চাকুরি হারানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে টাইগার সুজন তার বন্ধুদের নিয়ে আইয়ুবকে গলা কেটে হত্যা করে।পরে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় সিআইডি পুলিশের এসআই ইমাম হোসেন এজাহারভুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।
আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারক তাদের ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন।