জীবন চলছে জীবনের মতোই। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে জীবনের শত বসন্ত। ইচ্ছে আরও অনেকটা পথ একসঙ্গে চলার। জীবনের ময়দানে একপ্রকার রেকর্ডও করে ফেলেছেন এই যমজ দুই বোন।
আবহাওয়া এবং পরিবেশের অবনতির ফলে আজকালকার দিনে ৬০ পার হলেই ব্যস। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যায় জর্জরিত মানুষ। আধুনিক সময়ে হাত গোনা কয়েকজনই পার করতে পারেন ১০০ বছর। ওরসেস্টারশায়ার-এর এই দুই বৃদ্ধা— ইরিন ক্রাম্প এবং ফিলিস জোনস।
এঁদের দুইজনকে একসঙ্গে এক বললেই ভাল হয়। কেননা এঁরা যমজ। দুই শরীর হলেও মনে-প্রাণে ওঁরা একই। গত ২০
নভেম্বর দু’জনেই সেঞ্চুরি পার করলেন। জীবনের মাঠে সেঞ্চুরি, একসঙ্গে। এমনটা কতজনই বা করতে পারে?১৯১৬ সাল থেকে পথ চলা শুরু। দিনটা ছিল ২০ নভেম্বর।
মাত্র ২৫ মিনিটের ব্যবধানে জন্ম নেন এই দুই যমজ বোন। ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। স্কুল, কলেজ এমনকী চাকরি জীবনটাও একসঙ্গে শুরু করেন এঁরা। বর্তমানে স্টরব্রিজের বাড়িতে থাকেনও একসঙ্গে। হাসি-খুশি প্রাণবন্ত। যেমনটা আগে ছিলেন, এখনও ঠিক তেমনটাই আছেন।
এর মধ্যে কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। চারপাশের অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। কিন্তু বদলাননি তাঁরা।জীবনের শততম জন্মদিন পালন করে স্বভাবতই খুশি ইরিন এবং ফিলিস। জানালেন, সঠিক খাবার এবং কঠিন পরিশ্রমই তাঁদের সুস্থ শরীর ও দীর্ঘ জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি।
জীবনের অন্যতম সেরা দিনটি কাটালেন ৪৮ জন বন্ধুর সঙ্গে। এমনকী জীবনে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছোঁয়ার পর তাঁদের অনুরোধ ছিল, তাঁদের জন্য যেন কেউ উপহার না আনেন। বদলে ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’-এর জন্য যাতে অনুদান দেওয়া হয়, সেটাই আমন্ত্রিতদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা।
জীবনের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছেন। আরও অনেকটা পথ চলতে চান একসঙ্গে। শুভকামনা এই দুই সেঞ্চুরিয়ানকে।-এবেলা