ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলা নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
  • ২৫৭ বার

তকাল, এসময় প্রায় সব বাজারে কমলার দেখা মেলে। কমলা লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সুস্বাদু, সুগন্ধি এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ কমলা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, ফসফরাসসহ আরও অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ থাকলেও এতে চিনি বা শর্করা কম। তাই ডায়াবেটিক বা স্থূল রোগীরাও এ ফলটি খেতে পারবেন।

কমলায় খুব বেশি ক্যালরি নেই। একটা মাঝারি আকারের কমলায় প্রায় ৬২ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়া আছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কমলায় পেকটিনের পরিমাণ বেশ ভালো। আর পেকটিন হলো আঁশ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, পেট ভরায় ওজন না বাড়িয়েই।

একটা কমলায় রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি ভিটামিন সি, আঁশের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ। আর সব টক ফলের মতো কমলায়ও ক্যানসার প্রতিরোধী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বিদ্যমান। এ ছাড়া এতে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। শুধু তাই নয়, এই ফলের গুণে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

দিনে মাত্র একটি কমলা খেকে আর কী কী রোগ সারে তা নিম্নে আলোচনা করা হল :

* উচ্চ-রক্তচাপের রোগীর জন্য খুবই উপকারী কমলা। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

* কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

* চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ। আমরা সবাই জানি ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। কমলায় বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।

* কমলায় থাকা ভিটামিন সি আয়রন দ্রুত শোষণ করতে সাহায্য করে ও রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়।

* মুখে ভিটামিন সি এর অভাবে যে ঘাঁ হয় সেটার ওষুধ হিসেবে কমলা অনেক ভাল কাজ করে।

* কমলার রস পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

* কমলার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মেদ কমাতে সাহায্য করে।

* কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।

* কমলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে আলফা ও বেটা ক্যারোটিনের মতো ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কমলায় উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ হচ্ছে ফ্ল্যাভনয়েড যা ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর। তাই ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন ১টি কমলা খাওয়া উচিত।

শুধু তাই নয় কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কমলা নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ

আপডেট টাইম : ০৪:২০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

তকাল, এসময় প্রায় সব বাজারে কমলার দেখা মেলে। কমলা লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সুস্বাদু, সুগন্ধি এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ কমলা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, ফসফরাসসহ আরও অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ থাকলেও এতে চিনি বা শর্করা কম। তাই ডায়াবেটিক বা স্থূল রোগীরাও এ ফলটি খেতে পারবেন।

কমলায় খুব বেশি ক্যালরি নেই। একটা মাঝারি আকারের কমলায় প্রায় ৬২ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়া আছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কমলায় পেকটিনের পরিমাণ বেশ ভালো। আর পেকটিন হলো আঁশ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, পেট ভরায় ওজন না বাড়িয়েই।

একটা কমলায় রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি ভিটামিন সি, আঁশের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ। আর সব টক ফলের মতো কমলায়ও ক্যানসার প্রতিরোধী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বিদ্যমান। এ ছাড়া এতে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। শুধু তাই নয়, এই ফলের গুণে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

দিনে মাত্র একটি কমলা খেকে আর কী কী রোগ সারে তা নিম্নে আলোচনা করা হল :

* উচ্চ-রক্তচাপের রোগীর জন্য খুবই উপকারী কমলা। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

* কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

* চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ। আমরা সবাই জানি ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। কমলায় বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।

* কমলায় থাকা ভিটামিন সি আয়রন দ্রুত শোষণ করতে সাহায্য করে ও রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়।

* মুখে ভিটামিন সি এর অভাবে যে ঘাঁ হয় সেটার ওষুধ হিসেবে কমলা অনেক ভাল কাজ করে।

* কমলার রস পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

* কমলার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মেদ কমাতে সাহায্য করে।

* কমলায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।

* কমলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে আলফা ও বেটা ক্যারোটিনের মতো ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কমলায় উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ হচ্ছে ফ্ল্যাভনয়েড যা ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর। তাই ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন ১টি কমলা খাওয়া উচিত।

শুধু তাই নয় কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।