প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে ৬১ জেলা থেকে নির্বাচনের অংশগ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মোট ৭০১ জন জীবন-বৃত্তান্তসহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রত্যেক জেলা থেকে ৩ থেকে ৪ জন করে মোট ২০০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনী বোর্ড। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তালিকা সংক্ষিপ্ত করে তা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর কাছে জমা দেয়া হবে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইতিমধ্যে ৬১ টি জেলা থেকে মোট ৭০১ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন। সবচে বেশি রাজশাহী বিভাগ থেকে আবেদন পড়েছে। সবচে কম আবেদন পড়েছে বরিশাল বিভাগ থেকে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে। ৭০১ জনের তালিকা থেকে ফৌজদারী দণ্ডবিধির সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি থাকতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর কয়েকটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের পরই জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে। সবদিক বিবেচনায় জেলা পরিষদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন বোর্ডকে সভানেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। মূলত ক্লিন ইমেজের, তরুণ এবং ত্যাগী নেতাদের বিবেচনা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র। এছাড়া এছাড়া ঋণ খেলাপিদের বিষয়েও ভাবা হচ্ছে। দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন করেছে।