ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণমানুষের সেই ‘২০ টাকার ডাক্তার’ আর নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬
  • ৩০৪ বার

গণমানুষের সেই ‘২০ টাকার ডাক্তার’ আর নেই। হ্যাঁ, এই নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। শোকে মুহ্যমান গোটা কোয়েম্বাটুর শহর। যখন ডাক্তারদের চার্জ মেটাতে কালঘাম ছুটে যায় সবার তখন নজির গড়েছিলেন ইনি।

ড. বালসুব্র্হ্মণ্যের নাম ঘরে ঘরে জানতেন কোয়েম্বাটুরের প্রায় প্রত্যেকেই। এত কম টাকায় আজকাল আর কোন সরকারী ডাক্তার রোগী দেখে না। গত কয়েক বছর ধরে

এভাবেই সমাজসেবা করে আসছিলেন তিনি। সুদ্ধপুদুরে ১২ বছর ধরে ক্লিনিক চালিয়েছিলেন তিনি।

প্রথম ১০ বছর তার ভিজিট ছিল ১০ টাকা। কিন্তু গত দু’বছরে বাড়িয়েছিলেন সেই চার্জ। হয়েছিল ২০ টাকা। কোয়েম্বাটুরের মানুষ তাকে ভগবান হিসেবে দেখতে শুরু করেছিল। চেম্বারের সামনে সবসময়ই থাকতো লম্বা লাইন।

কখনই বিরক্ত হতেন না তিনি। মধ্যরাতেই তার দরজায় ধাক্কা মারলে ফেরাতেন না কাউকে। এক সরকারি হাসপাতালে চাকরির পর অবসর নেওয়ার পরেই এই ক্লিনিক খুলেছিলেন তিনি। তাই তার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই একটা বড় দুঃসংবাদ শহর জুড়ে।

উল্লেখ্য, কোয়েম্বাটুর হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও ভারতের ১৬ তম বৃহৎ শহর। ২০১১ সালের ভারতের আদম শুমারির হিসাবে শহরটির জনসংখ্যা ১৬,০১,৪৩৮ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গণমানুষের সেই ‘২০ টাকার ডাক্তার’ আর নেই

আপডেট টাইম : ১২:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬

গণমানুষের সেই ‘২০ টাকার ডাক্তার’ আর নেই। হ্যাঁ, এই নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। শোকে মুহ্যমান গোটা কোয়েম্বাটুর শহর। যখন ডাক্তারদের চার্জ মেটাতে কালঘাম ছুটে যায় সবার তখন নজির গড়েছিলেন ইনি।

ড. বালসুব্র্হ্মণ্যের নাম ঘরে ঘরে জানতেন কোয়েম্বাটুরের প্রায় প্রত্যেকেই। এত কম টাকায় আজকাল আর কোন সরকারী ডাক্তার রোগী দেখে না। গত কয়েক বছর ধরে

এভাবেই সমাজসেবা করে আসছিলেন তিনি। সুদ্ধপুদুরে ১২ বছর ধরে ক্লিনিক চালিয়েছিলেন তিনি।

প্রথম ১০ বছর তার ভিজিট ছিল ১০ টাকা। কিন্তু গত দু’বছরে বাড়িয়েছিলেন সেই চার্জ। হয়েছিল ২০ টাকা। কোয়েম্বাটুরের মানুষ তাকে ভগবান হিসেবে দেখতে শুরু করেছিল। চেম্বারের সামনে সবসময়ই থাকতো লম্বা লাইন।

কখনই বিরক্ত হতেন না তিনি। মধ্যরাতেই তার দরজায় ধাক্কা মারলে ফেরাতেন না কাউকে। এক সরকারি হাসপাতালে চাকরির পর অবসর নেওয়ার পরেই এই ক্লিনিক খুলেছিলেন তিনি। তাই তার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই একটা বড় দুঃসংবাদ শহর জুড়ে।

উল্লেখ্য, কোয়েম্বাটুর হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও ভারতের ১৬ তম বৃহৎ শহর। ২০১১ সালের ভারতের আদম শুমারির হিসাবে শহরটির জনসংখ্যা ১৬,০১,৪৩৮ জন।