সৌন্দর্য কৃষ্ণচূড়া ফুলের লালে লাল রঙের

কৃষি প্রতিবেদক:কৃষ্ণচূড়ার আদিনিবাস মাদাগাস্কার।পরিবার Leguminosae,বৈজ্ঞানিক নাম:Delonix regia,তবে বৃক্ষ জাতীয় এ ফুল গাছ বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিবেশ ও ঐতিহ্যের সাথে গভীর ভাবে মিশে আছে যুগ যুগ ধরে।বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিকে
নতুন করে সাজিয়ে তোলে কৃষ্ণচূড়া ফুলের লালে।গাছের ডালে ডালে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দেয়া টকটকে লাল রঙের বাহারী ফুলে ভরে যায় গাছ।ফুল গন্ধহীন,পাপড়ি পাঁচটি, নমনীয় কোমল,মাঝে লম্বা পরাগ দ- অবস্থিত। ফুল ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া গাছের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কেউ থমকে দাঁড়াবে ও মনে আনন্দের ঢ়েউ জাগে।ফুল ফুটন্ত গাছ বহু দূর থেকে দেখেও চেনা যায়।পএ ঝরা বৃক্ষ,শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তের আগমনে গাছে নতুন পাতা গজায়।পাতা ক্ষুদ্র,যৌগিক ও চিরুনির মতো সাজানো থাকে।ফুল শেষে গাছে ফল ধরে।ফলের আকার চ্যাপ্টা লম্বা,দেখতে তলোয়ার শিমের আকৃতির, ফলের রঙ প্রথমে সবুজ ও পরিপক্ক হলে কালচে রঙ ধারন করে। ফলের ভিতর বীজ হয়,বীজের রঙ কালো।বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়। গাছ দ্রত বর্ধনশীল ,সাধারণত বীজ /চারা রোপনের ৫ থেকে ৬ বছর বয়সে গাছে ফুল ফুটে।গাছের কাঠ মাঝারি শক্ত মানের ,খুব বেশী শক্ত মানের নয় বলে জ্বালানির লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অন্য কাজে তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়না ।উঁচু ভূমি কৃষ্ণচূড়া গাছ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত স্থান।আমাদের দেশে অফিস-আদালত ,শিক্ষা প্রতিষ্টান,পার্ক,সড়ক-মহাসড়কের ধারে ও অন্যান্য স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছোট-বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ চোখে পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর