আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে বিশ্বাসঘাতক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় ওলামা লীগ।
ওলামা লীগের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমার্জনীয় বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে আব্দুর রাজ্জাক তার বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা উন্মোচন করেছে মিডিয়ার কাছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন ‘সুযোগ পেলে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেওয়া হবে’ এমন বক্তব্য আওয়ামী লীগের নয়। তবে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ধর্ম-দেশ ও দলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলে মনে করে ওলামা লীগ।
ওলামা লীগ নেতারা বলেন, এ বক্তব্য আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত
অপলাপ। কারণ, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সহ-সভাপতি হাফেজ মুসতফা চৌধুরী, মুফতি মা’ছুম বিল্লাহ নাফেয়ী ও মাওলানা শোয়াইব আহমদ গোপালগঞ্জী ও হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলীল।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এই বক্তব্য দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে চরম সাম্প্রদায়িক, দেশবিরোধী, দলবিরোধী এবং উগ্রহিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের শ্রেণিভুক্ত প্রমাণ করলেন এবং আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করলেন।
বিবৃতিতে ওলামা লীগ নেতাদের প্রশ্ন, আব্দুর রাজ্জাক কাকে খুশী করতে এ বক্তব্য দিলেন? বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নেতারা এই কুলাঙ্গারকে দল থেকে বহিষ্কারসহ রাষ্ট্রধর্ম অবমাননার ফলশ্রুতিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য। আমি কখনোই বিশ্বাস করি না, ইসলাম ধর্ম বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত। এটা আমাদের কৌশল। আমরা সুযোগ পেলে, সময় পেলে ইনশাহ আল্লাহ এটাকে সংবিধান থেকে তুলে দেব।’