ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের নারী বিশ্বকাপ জয়ে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন শচীন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৩ বার

শচীন টেন্ডুলকারের হাত ধরে ভারত তাদের ২৮ বছরের খরা কাটিয়েছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে জিতেছিল তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সেই তিনি এখন অবসরে, কোচিংয়ের সঙ্গেও যুক্ত নন। তবে এরপরও তিনি অবদান রেখেছেন ভারতীয় নারীদের বিশ্বকাপ জয়ে।

ভারতের তরুণ ওপেনার শেফালি ভার্মা জানিয়েছেন এ কথা। তিনি জানান, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে দেখা করা তার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে সেই প্রেরণাই তাকে অনুপ্রাণিত করে।

শেফালি মাত্র এক সপ্তাহ আগে ভারতের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান, কারণ নিয়মিত ওপেনার প্রতীকা রাওয়াল ইনজুরিতে ছিটকে যান। কিন্তু সুযোগ পেয়ে ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার খেলেন জীবনের সেরা ইনিংস — ৮৭ রানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভারতকে এনে দেন প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা।

গত বছর দল থেকে বাদ পড়ার পর শেফালির জন্য এটি একপ্রকার প্রত্যাবর্তন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তিনি করেছিলেন মাত্র ১০ রান। কিন্তু ফাইনালে তার ব্যাটে ঝলসে ওঠে।

ম্যাচ শেষে শেফালি বলেন, ‘যখন আমি তাকে (শচীন টেন্ডুলকার) দেখলাম, তখনই আমার ভেতরে এক অদ্ভুত শক্তি চলে আসে। আমি তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, তিনি আমাকে বারবার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছিলেন। তিনি ক্রিকেটের মাস্টার, তাকে দেখলেই অনুপ্রেরণা আসে।’

শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও জ্বলে ওঠেন শেফালি। অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর তাকে দেন গুরুত্বপূর্ণ ওভার, আর তাতেই তিনি নেন দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।

হারমানপ্রিত বলেন, ‘আমি জানতাম ঝুঁকি আছে, কিন্তু ওর আত্মবিশ্বাস দেখেই মনে হয়েছিল এটা ঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আমি পরে যেন আফসোস না করি যে কেন চেষ্টা করিনি। আর ও যখন টানা দুই উইকেট নেয়, তখনই খেলার মোড় ঘুরে যায়।’

বিশ্বকাপ জয়ের পর শেফালি বললেন, ‘আমি খুব খুশি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সময়টা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার নিজের ওপর ভরসা ছিল। আমি জানতাম, শান্ত থাকতে পারলে সবকিছু সম্ভব। আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার দলকে জিতিয়ে দিতে। আমার মন পরিষ্কার ছিল, আমি পরিকল্পনা মেনে খেলেছি, আর সিনিয়ররা সবসময় আমাকে বলছিল নিজের মতো খেলতে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতের নারী বিশ্বকাপ জয়ে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন শচীন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

শচীন টেন্ডুলকারের হাত ধরে ভারত তাদের ২৮ বছরের খরা কাটিয়েছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে জিতেছিল তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সেই তিনি এখন অবসরে, কোচিংয়ের সঙ্গেও যুক্ত নন। তবে এরপরও তিনি অবদান রেখেছেন ভারতীয় নারীদের বিশ্বকাপ জয়ে।

ভারতের তরুণ ওপেনার শেফালি ভার্মা জানিয়েছেন এ কথা। তিনি জানান, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে দেখা করা তার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে সেই প্রেরণাই তাকে অনুপ্রাণিত করে।

শেফালি মাত্র এক সপ্তাহ আগে ভারতের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান, কারণ নিয়মিত ওপেনার প্রতীকা রাওয়াল ইনজুরিতে ছিটকে যান। কিন্তু সুযোগ পেয়ে ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার খেলেন জীবনের সেরা ইনিংস — ৮৭ রানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভারতকে এনে দেন প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা।

গত বছর দল থেকে বাদ পড়ার পর শেফালির জন্য এটি একপ্রকার প্রত্যাবর্তন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তিনি করেছিলেন মাত্র ১০ রান। কিন্তু ফাইনালে তার ব্যাটে ঝলসে ওঠে।

ম্যাচ শেষে শেফালি বলেন, ‘যখন আমি তাকে (শচীন টেন্ডুলকার) দেখলাম, তখনই আমার ভেতরে এক অদ্ভুত শক্তি চলে আসে। আমি তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, তিনি আমাকে বারবার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছিলেন। তিনি ক্রিকেটের মাস্টার, তাকে দেখলেই অনুপ্রেরণা আসে।’

শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও জ্বলে ওঠেন শেফালি। অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর তাকে দেন গুরুত্বপূর্ণ ওভার, আর তাতেই তিনি নেন দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।

হারমানপ্রিত বলেন, ‘আমি জানতাম ঝুঁকি আছে, কিন্তু ওর আত্মবিশ্বাস দেখেই মনে হয়েছিল এটা ঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আমি পরে যেন আফসোস না করি যে কেন চেষ্টা করিনি। আর ও যখন টানা দুই উইকেট নেয়, তখনই খেলার মোড় ঘুরে যায়।’

বিশ্বকাপ জয়ের পর শেফালি বললেন, ‘আমি খুব খুশি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সময়টা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার নিজের ওপর ভরসা ছিল। আমি জানতাম, শান্ত থাকতে পারলে সবকিছু সম্ভব। আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার দলকে জিতিয়ে দিতে। আমার মন পরিষ্কার ছিল, আমি পরিকল্পনা মেনে খেলেছি, আর সিনিয়ররা সবসময় আমাকে বলছিল নিজের মতো খেলতে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’