ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসার কী হবে?‌ স্বার্থের সঙ্ঘাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬
  • ৩৪১ বার

আর ক’‌টা দিন। তার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঠিকানা হোয়াইট হাউস। কিন্তু তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা?‌ সমালোচকরা বলছেন, এবার তা আরও ফুলেফেঁপে উঠবে। নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখতে দেশের স্বার্থও জলাঞ্জলি দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের দাবি, এই ক’‌বছর তাঁর ব্যবসা পরিচালন করবে একটি ব্লাইন্ড ট্রাস্ট। ফলে স্বার্থের সঙ্ঘাত হবে না। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রকম হওয়া অসম্ভব।

ব্যবসা—
❏‌ সম্পত্তি কেনাবেচা, ক্যাসিনো, সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার ব্যবসা রয়েছে।
❏‌ ৫১৫টি সংস্থার একজিকিউটিভ। এর মধ্যে তার নামে চলে ২৬৮টি সংস্থা।
❏ ট্রাম্পের সংস্থা‌ সারা দুনিয়ায় অসংখ্য বহুতল, ১৫টি হোটেল (‌তুরস্ক, উরুগুয়ে, ফিলিপিনস, দক্ষিণ কোরিয়া)‌, ১৭টি গল্প কোর্সের (‌আরব আমিররাত, ব্রিটেন, আয়র্ল্যান্ড)‌ মালিক।

❏‌ ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ার,

শিকাগোয় ট্রাম্প টাওয়ার, ফ্লোরিডার পাম বিচে প্রাইভেট ক্লাব মার–আ–লাগো।

সঙ্ঘাতের জায়গা—
❏‌ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের হোটেলের একাংশ মার্কিন সরকারকে লিজ দেওয়া রয়েছে। ট্রাম্প এখন মালিক–ভাড়াটে দুইই।
❏‌ বিদেশে একাধিক ব্যবসা রয়েছে ট্রাম্পের। মার্কিন রাষ্ট্রপতির ব্যবসায় এবার কর মকুব করতে পারে বিদেশি রাষ্ট্র। বদলে মার্কিন সরকারের থেকে বিভিন্ন সুবিধা নেবে তারা।
❏‌ ট্রাম্পের সংস্থাকে এবার দেশের অন্যান্য সংস্থা সমঝেই চলবে। প্রেসিডেন্টের সংস্থা বলে কথা!‌ বাড়তি সুবিধাও নিতে পারে তার সংস্থা।

❏‌ আগে দেউলিয়া হয়েছে ট্রাম্পের সংস্থা। ব্যাঙ্কে ট্রাম্পের ১৫টি সংস্থার ২৭ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে। সেই ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়বে ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলো।
❏‌ ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার একটি ফ্যাশন সংস্থা রয়েছে। সংস্থার জামা কাপড় তৈরি হয় চীনে। প্রচারের সময় ট্রাম্প চীনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে চীন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কর বসাবেন।

সম্ভাব্য উপায়—

❏‌ ব্লাইন্ড ট্রাস্ট তাঁর ব্যবসা চালাবে।
❏‌ হোটেল থাকবে ইভাঙ্কার দায়িত্বে। ডোনাল্ড জুনিয়র গল্প কোর্স ও এরিক নতুন প্রকল্পের কাজ দেখবেন।
❏‌ প্রেসিডেন্ট বাবার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন, তাই বৈদেশিক সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা করা যাবে না।

অসুবিধা—
❏‌ ব্যবসার রাশ সেই ট্রাম্প পরিবারের হাতেই থাকছে। বাবার পদ কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিতে পারেন ছেলে–মেয়েরাও।
❏‌ ব্লাইন্ড ট্রাস্টের অধীনে সংস্থা থাকা মানে তার মালিক সংস্থার লাভ–ক্ষতি, পরিচালন সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবেন না। কিন্তু ট্রাম্প নিজেই তার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। ফলে ব্যবসার খুঁটিনাটি তিনি জানেন। আজকাল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যবসার কী হবে?‌ স্বার্থের সঙ্ঘাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৬

আর ক’‌টা দিন। তার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঠিকানা হোয়াইট হাউস। কিন্তু তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা?‌ সমালোচকরা বলছেন, এবার তা আরও ফুলেফেঁপে উঠবে। নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখতে দেশের স্বার্থও জলাঞ্জলি দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের দাবি, এই ক’‌বছর তাঁর ব্যবসা পরিচালন করবে একটি ব্লাইন্ড ট্রাস্ট। ফলে স্বার্থের সঙ্ঘাত হবে না। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রকম হওয়া অসম্ভব।

ব্যবসা—
❏‌ সম্পত্তি কেনাবেচা, ক্যাসিনো, সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার ব্যবসা রয়েছে।
❏‌ ৫১৫টি সংস্থার একজিকিউটিভ। এর মধ্যে তার নামে চলে ২৬৮টি সংস্থা।
❏ ট্রাম্পের সংস্থা‌ সারা দুনিয়ায় অসংখ্য বহুতল, ১৫টি হোটেল (‌তুরস্ক, উরুগুয়ে, ফিলিপিনস, দক্ষিণ কোরিয়া)‌, ১৭টি গল্প কোর্সের (‌আরব আমিররাত, ব্রিটেন, আয়র্ল্যান্ড)‌ মালিক।

❏‌ ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ার,

শিকাগোয় ট্রাম্প টাওয়ার, ফ্লোরিডার পাম বিচে প্রাইভেট ক্লাব মার–আ–লাগো।

সঙ্ঘাতের জায়গা—
❏‌ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের হোটেলের একাংশ মার্কিন সরকারকে লিজ দেওয়া রয়েছে। ট্রাম্প এখন মালিক–ভাড়াটে দুইই।
❏‌ বিদেশে একাধিক ব্যবসা রয়েছে ট্রাম্পের। মার্কিন রাষ্ট্রপতির ব্যবসায় এবার কর মকুব করতে পারে বিদেশি রাষ্ট্র। বদলে মার্কিন সরকারের থেকে বিভিন্ন সুবিধা নেবে তারা।
❏‌ ট্রাম্পের সংস্থাকে এবার দেশের অন্যান্য সংস্থা সমঝেই চলবে। প্রেসিডেন্টের সংস্থা বলে কথা!‌ বাড়তি সুবিধাও নিতে পারে তার সংস্থা।

❏‌ আগে দেউলিয়া হয়েছে ট্রাম্পের সংস্থা। ব্যাঙ্কে ট্রাম্পের ১৫টি সংস্থার ২৭ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে। সেই ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়বে ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলো।
❏‌ ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার একটি ফ্যাশন সংস্থা রয়েছে। সংস্থার জামা কাপড় তৈরি হয় চীনে। প্রচারের সময় ট্রাম্প চীনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে চীন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কর বসাবেন।

সম্ভাব্য উপায়—

❏‌ ব্লাইন্ড ট্রাস্ট তাঁর ব্যবসা চালাবে।
❏‌ হোটেল থাকবে ইভাঙ্কার দায়িত্বে। ডোনাল্ড জুনিয়র গল্প কোর্স ও এরিক নতুন প্রকল্পের কাজ দেখবেন।
❏‌ প্রেসিডেন্ট বাবার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন, তাই বৈদেশিক সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা করা যাবে না।

অসুবিধা—
❏‌ ব্যবসার রাশ সেই ট্রাম্প পরিবারের হাতেই থাকছে। বাবার পদ কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিতে পারেন ছেলে–মেয়েরাও।
❏‌ ব্লাইন্ড ট্রাস্টের অধীনে সংস্থা থাকা মানে তার মালিক সংস্থার লাভ–ক্ষতি, পরিচালন সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবেন না। কিন্তু ট্রাম্প নিজেই তার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। ফলে ব্যবসার খুঁটিনাটি তিনি জানেন। আজকাল