ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হতে পারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০১৬
  • ৩১২ বার

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হতে পারে। আইনের একজন অধ্যাপক এ কথা জানিয়েছেন।

আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার পিটারসন বলেন, ট্রাম্প যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন, সে ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যথেষ্ট কাগজপত্র রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করার মতো যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর ফলে তাকে তার দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে হতে পারে।

পিটারসন এই বিশ্লেষণধর্মী লেখাটি লেখেন সেপ্টেম্বরে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে। কিন্তু তার লেখার যুক্তিতর্ক এখনো আগের মতো সমান কার্যকর।

ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্র করে পিটারসন লেখাটি তেরি করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ট্রাম্প নিজেই প্রতিষ্ঠা

করেন। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর ২০১০ সালে আবার নিজেই বন্ধ করে দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। এর মধ্যে একটি মামলায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। এ ছাড়া ট্রাম্পের আচরণগত সমস্যাও তাকে ইমপিচ করার কারণ হিসেবে আইন প্রণেতারা কাজে লাগতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া মারাত্মক অপরাধ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। পিটারসন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হাজার হাজার পরিবারকে তিনি ঠকিয়েছেন।’ কার্যত ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে হলে নতুন করে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হবে। জনমত গঠন করতে হবে নতুন করে। আইন প্রণেতাদেরও প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে যেতে হবে। এবং এটি শুরু করতে হবে প্রতিনিধি পরিষদ থেকে।

ট্রাম্পকে যদি ইমপিচ করা হয় এবং ইমপিচের শিকার হয়ে বিদায় নিতে হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য এরই মধ্যে কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে গেছে।

‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করুন’ এই শিরোনামে অনলাইনে পোস্ট করা পিটিশনে এর লেখক বলেন, বিষয়টি পরিস্কার যে, কোনো না কোনোখানে একটা কিছু ভুল হয়ে গেছে, নইলে কামাসক্ত ও চরম বর্ণবাদী এক লোক যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট হয় কীভাবে? যুক্তরাষ্ট্রর কংগ্রেস, বারাক ওবামা, প্রতিনিধি পরিষদ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে উদ্দেশ্যে করে পিটিশনটি লেখা হয়।

বিশ্বের জন্য ট্রাম্প বিপজ্জনক অভিহিত করে পিটিশনের লেখক বলেন, এই পিটিশনে সই করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার অবস্থান নিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার অনুরোধ করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হতে পারে

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০১৬

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হতে পারে। আইনের একজন অধ্যাপক এ কথা জানিয়েছেন।

আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার পিটারসন বলেন, ট্রাম্প যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন, সে ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যথেষ্ট কাগজপত্র রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করার মতো যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর ফলে তাকে তার দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে হতে পারে।

পিটারসন এই বিশ্লেষণধর্মী লেখাটি লেখেন সেপ্টেম্বরে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে। কিন্তু তার লেখার যুক্তিতর্ক এখনো আগের মতো সমান কার্যকর।

ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্র করে পিটারসন লেখাটি তেরি করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ট্রাম্প নিজেই প্রতিষ্ঠা

করেন। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর ২০১০ সালে আবার নিজেই বন্ধ করে দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। এর মধ্যে একটি মামলায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। এ ছাড়া ট্রাম্পের আচরণগত সমস্যাও তাকে ইমপিচ করার কারণ হিসেবে আইন প্রণেতারা কাজে লাগতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া মারাত্মক অপরাধ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। পিটারসন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হাজার হাজার পরিবারকে তিনি ঠকিয়েছেন।’ কার্যত ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে হলে নতুন করে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হবে। জনমত গঠন করতে হবে নতুন করে। আইন প্রণেতাদেরও প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে যেতে হবে। এবং এটি শুরু করতে হবে প্রতিনিধি পরিষদ থেকে।

ট্রাম্পকে যদি ইমপিচ করা হয় এবং ইমপিচের শিকার হয়ে বিদায় নিতে হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য এরই মধ্যে কাগজপত্র তৈরি করা হয়ে গেছে।

‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করুন’ এই শিরোনামে অনলাইনে পোস্ট করা পিটিশনে এর লেখক বলেন, বিষয়টি পরিস্কার যে, কোনো না কোনোখানে একটা কিছু ভুল হয়ে গেছে, নইলে কামাসক্ত ও চরম বর্ণবাদী এক লোক যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্ট হয় কীভাবে? যুক্তরাষ্ট্রর কংগ্রেস, বারাক ওবামা, প্রতিনিধি পরিষদ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে উদ্দেশ্যে করে পিটিশনটি লেখা হয়।

বিশ্বের জন্য ট্রাম্প বিপজ্জনক অভিহিত করে পিটিশনের লেখক বলেন, এই পিটিশনে সই করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার অবস্থান নিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার অনুরোধ করুন।