আনচেলত্তির দলে নেই, বিশ্বকাপের ঘড়ি চলছে
ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি গত বুধবার ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের দল। তাতে নেই নেইমারের নাম।
আনচেলত্তি অবশ্য এখনো আশাবাদী, ‘তার লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী জুনে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত থাকা। অক্টোবর বা মার্চে দলে থাকা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
কিন্তু নেইমারের নিজের বক্তব্য ছিল অন্যরকম। ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার বলেন, ‘আমাকে বাদ দেওয়ার কারণ ফিটনেস নয় বরং টেকনিক্যাল।’ এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিতর্ক।
এদিকে ব্রাজিলের কিংবদন্তি অধিনায়ক কাফুর বলেন, ‘যদি নেইমারের মতো একজন খেলোয়াড় টেকনিক্যাল কারণে বাদ পড়ে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কিছু একটা ঠিক নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৫ বছর ধরে নেইমার একাই ব্রাজিলের আশা-ভরসা ছিল। কিন্তু এখন তিনি তিন ম্যাচ একসঙ্গে খেলতেও হিমশিম খান।’
গবেষণা সংস্থা ডাটা ফোলহার জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান চায় নেইমারকে আবার দলে দেখতে, ৪১ শতাংশ তা চান না।
সান্তোসে ফিরে আসার পর মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে নিজের আচরণের কারণে থেকেছেন আলোচনায়। দর্শকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, হারের পর কান্না, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিরক্তি—সবই যেন তার চারপাশে তৈরি করেছে অনিশ্চয়তার ঘন মেঘ।
তার বাবা ও এজেন্ট নেইমার সিনিয়রও বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন, ‘সান্তোসে ফিরে আসা ছিল কেবল পুনরুদ্ধারের জন্য, পাঁচ মাসের পরিকল্পনা।’ এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন, নেইমারের মনোযোগ আসলেই ফুটবলে আছে তো?
তবু আশা ছাড়ছেন না সবাই। কিংবদন্তি রোনালদো ‘ফেনোমেনন’ মনে করেন, নেইমার এখনও ব্রাজিলের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে নেইমার নিজের যত্ন নিচ্ছেন না, তারা বুঝতে পারে না ইনজুরি থেকে ফিরে আসা কতটা কঠিন। আমি নিজে জানি, বিশ্বাস করুন—ও সঠিক পথে আছে।’
Reporter Name 

























