ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
  • ৩১৭ বার

এ এক নয়া ইতিহাস। এক সময় টেস্ট খেলতে গিয়ে কাঁপতো বাংলাদেশ। হেরে বসতো তিন দিনেই।এবার শক্তিধর ইংলিশদের কাঁপিয়ে সেই তিনদিনেই ঐতিহাসকি টেস্ট জিতে নিল টাইগাররা। মিরপুর শুনলো সত্যিকারের বাঘের গর্জন। শের-ই-বাংলায় গত তিন দিনে অনেক উত্তেজনা আর নাটক ছড়িয়ে অবশেষে ১০৮ রানে স্মরণীয় টেস্ট জিতে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলেন মুশফিকরা।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ৯৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ( এ ম্যাচের আগে পর্যন্ত)। সেখানে জয় মাত্র ৭টি, যেগুলো আবার দুর্বল জিম্বাবুয়ে (৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (২) বিপক্ষে। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে এর আগে জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৯ ম্যাচে এমনকি ড্রও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই বাজে রেকর্ড ভেঙে ফেললো টাইগাররা। মিরাজ ও সাকিবের স্পিন জাদুতে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট করে নতুন নজির সৃষ্টি করলো তারা।

এ দুজনের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ে শেষ ৭০ মিনিটে ১০ উইকেট হারাতে হয় ইংল্যান্ডকে। এক সময় বিনা উইকেটে ১০০ রান ছিল তাদের। কিন্তু শেষ ৬৫ রান তুলতে হারাত হয় ১০ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট। এ ম্যাচে ১২। দুই ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা মিরাজ। সেই সঙ্গে হযেছেন ম্যাচ সেরাও।

২৭২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দুই প্রান্তে দুই স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। সুযোগও তৈরী হয় দ্রুত। ইংল্যান্ডের রান তখন ১৮। ১২ রানে ব্যাট করছিলেন ওপেনার ডাকেট।

মিরাজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। সেই ক্যাচ হাতছাড়া করার মূল্য দিতে হয় দলকে। বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশকে হতাশায় ফেলে দেয় ইংল্যান্ড।

না, হবে না। এবারও হবে ন। হতাশা চারদিকে।অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন পুরোপুরি। ঠিক তখনই ডাকেটকে ৫৬ রানে ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মিরাজ। ব্যস, সেই শুরু। এরপর ১ রানে জো রুটকে এলবির ফাঁদে ফেলে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন সাকিব।

দুই উইকেট পড়ে যাবার পর মিরাজ ম্যাজিক আরো গতি পেল। তার স্পিন ঘুর্ণিতে তালগোল পাকিয়ে পরপর ফিরে যান ব্যালান্স (৫), মঈন আলী (০)। কুক অসাধারণ খেলছিলেন। তবে ৫৯ রানে ইংলিশ অধিনায়ককে বিদায় করে পুরোপুরি বাংলাদেশকে ম্যাচে এনে দেন তরুণ তুর্কি মিরাজ। দিনের সবচেয়ে বড় উইকেট ছিল এটি।

ইংল্যান্ড ১২৭, ৫ উইকেটে।জয়ের জন্য তখনও ১৪৫ রান দূরে সফরকারীরা। সমীকরণটা আরো সহজ করে দেন মিরাজ। ৫ রানে বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন তিনি। সঙ্গে পাঁচ উইকেটও পুরণ করে নতুন নজির সৃষ্টি করেন মিরাজ।

এরপর সাকিবের অবিশ্বাস্য ও ম্যাজিক্যাল ওভার। নিজের ১২তম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয়ের একেবারে দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দেন সাকিব।

ওভারের তৃতীয় বলে বিপদজনক বেন স্টোকসকে ২৫ রানে বোল্ড করলেন। পরের বলে আদিল রাশিদকে ০ রানে এলবি করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন সাকিব। কিন্তু পঞ্চম বলে উইকেট না পেলেও ওভারের শেষ বলে ০ তে জাফর আনসারিকে আউট করে বিস্ময়ের জন্ম দেন সাকিব। এরপর ফিনকে ০ রানে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। ইংল্যান্ড অলআউট ১৬৪ রানে। মাত্র ৩ দিনেই ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে নেয় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট নিয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে নিলেন ৬ উইকেট।

কম যাননি সাকিবও। ৪৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সাকিব।

এরআগে লাঞ্চের কিছু পরেই বালাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৯৬ রানে। শেষ ৯৭ রান তুলতে হারাতে হয় ৭ উইকেট।

৩ উইকেটে ১৫২ রানে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ।রবিবার সকালে বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন আগের দিনে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান।

ঘন্টা ঘানেক তারা উইকেটে কাটিয়ে দেন। রানও আসছিলো গতিতে। যদিও দুজনই একাধিক জীবন দেন। ব্যক্তিগত ৬৬ ও ৭৪ রানের সময় জীবন পাওয়া ইমরুল আউট হন ৭৮ রান করে। তবে সাকিবকে সঙ্গে দিয়ে দলের রান ততক্ষণে ২০০তে নিয়ে যান ইমরুল।

রান করে গেলেও একাধিকবার আউটের সুযোগ দেন সাকিবও। ১৬ রানের সময় একবার এবং পরে ২৩ রানের মাথায়। ভাগ্য ভালো, দুবারই জীবন পেয়ে যান সাকিব। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪১ রান করে।

প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ মুশফিকের উপর এ ইনিংসে বড় দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। ৬ রানের সময় জীবন পেয়ে আউট হন ৯ করে। এরপর ১৭ বলে ১৫ রান করে সাব্বির আউট হলে লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৬৮। বাংলাদেশ লিড তখন ২৪৪ রানে।

অন্তত ৩০০ রানের লিড দরকার ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায় লাঞ্চের আগে টপাটপ করে উইকেট পড়ায়।

শুভাগত হোম ব্যাট করতে পারেন। শুভাগতকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ছিলেন তাইজুল। কিন্তু লাঞ্চের পরপরই তিনি ফিরে যান মাত্র ৫ রান করে।গত তিন ইনিংসে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মিরাজ। তাকে নিয়ে কিছু আশা করা ছিল কঠিন।এবং সেটাই হলো। মাত্র ২ রানে ফিরে যান তিনি। শেষমেষ ২৯৬ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। শুভাগত অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।

ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন। বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট। জাফর আনসারি পান ২ উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়

আপডেট টাইম : ১১:৫১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

এ এক নয়া ইতিহাস। এক সময় টেস্ট খেলতে গিয়ে কাঁপতো বাংলাদেশ। হেরে বসতো তিন দিনেই।এবার শক্তিধর ইংলিশদের কাঁপিয়ে সেই তিনদিনেই ঐতিহাসকি টেস্ট জিতে নিল টাইগাররা। মিরপুর শুনলো সত্যিকারের বাঘের গর্জন। শের-ই-বাংলায় গত তিন দিনে অনেক উত্তেজনা আর নাটক ছড়িয়ে অবশেষে ১০৮ রানে স্মরণীয় টেস্ট জিতে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলেন মুশফিকরা।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ৯৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ( এ ম্যাচের আগে পর্যন্ত)। সেখানে জয় মাত্র ৭টি, যেগুলো আবার দুর্বল জিম্বাবুয়ে (৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (২) বিপক্ষে। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে এর আগে জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৯ ম্যাচে এমনকি ড্রও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই বাজে রেকর্ড ভেঙে ফেললো টাইগাররা। মিরাজ ও সাকিবের স্পিন জাদুতে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট করে নতুন নজির সৃষ্টি করলো তারা।

এ দুজনের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ে শেষ ৭০ মিনিটে ১০ উইকেট হারাতে হয় ইংল্যান্ডকে। এক সময় বিনা উইকেটে ১০০ রান ছিল তাদের। কিন্তু শেষ ৬৫ রান তুলতে হারাত হয় ১০ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট। এ ম্যাচে ১২। দুই ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা মিরাজ। সেই সঙ্গে হযেছেন ম্যাচ সেরাও।

২৭২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দুই প্রান্তে দুই স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। সুযোগও তৈরী হয় দ্রুত। ইংল্যান্ডের রান তখন ১৮। ১২ রানে ব্যাট করছিলেন ওপেনার ডাকেট।

মিরাজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। সেই ক্যাচ হাতছাড়া করার মূল্য দিতে হয় দলকে। বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশকে হতাশায় ফেলে দেয় ইংল্যান্ড।

না, হবে না। এবারও হবে ন। হতাশা চারদিকে।অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন পুরোপুরি। ঠিক তখনই ডাকেটকে ৫৬ রানে ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মিরাজ। ব্যস, সেই শুরু। এরপর ১ রানে জো রুটকে এলবির ফাঁদে ফেলে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন সাকিব।

দুই উইকেট পড়ে যাবার পর মিরাজ ম্যাজিক আরো গতি পেল। তার স্পিন ঘুর্ণিতে তালগোল পাকিয়ে পরপর ফিরে যান ব্যালান্স (৫), মঈন আলী (০)। কুক অসাধারণ খেলছিলেন। তবে ৫৯ রানে ইংলিশ অধিনায়ককে বিদায় করে পুরোপুরি বাংলাদেশকে ম্যাচে এনে দেন তরুণ তুর্কি মিরাজ। দিনের সবচেয়ে বড় উইকেট ছিল এটি।

ইংল্যান্ড ১২৭, ৫ উইকেটে।জয়ের জন্য তখনও ১৪৫ রান দূরে সফরকারীরা। সমীকরণটা আরো সহজ করে দেন মিরাজ। ৫ রানে বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন তিনি। সঙ্গে পাঁচ উইকেটও পুরণ করে নতুন নজির সৃষ্টি করেন মিরাজ।

এরপর সাকিবের অবিশ্বাস্য ও ম্যাজিক্যাল ওভার। নিজের ১২তম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয়ের একেবারে দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দেন সাকিব।

ওভারের তৃতীয় বলে বিপদজনক বেন স্টোকসকে ২৫ রানে বোল্ড করলেন। পরের বলে আদিল রাশিদকে ০ রানে এলবি করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন সাকিব। কিন্তু পঞ্চম বলে উইকেট না পেলেও ওভারের শেষ বলে ০ তে জাফর আনসারিকে আউট করে বিস্ময়ের জন্ম দেন সাকিব। এরপর ফিনকে ০ রানে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। ইংল্যান্ড অলআউট ১৬৪ রানে। মাত্র ৩ দিনেই ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে নেয় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট নিয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে নিলেন ৬ উইকেট।

কম যাননি সাকিবও। ৪৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সাকিব।

এরআগে লাঞ্চের কিছু পরেই বালাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৯৬ রানে। শেষ ৯৭ রান তুলতে হারাতে হয় ৭ উইকেট।

৩ উইকেটে ১৫২ রানে শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ।রবিবার সকালে বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন আগের দিনে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান।

ঘন্টা ঘানেক তারা উইকেটে কাটিয়ে দেন। রানও আসছিলো গতিতে। যদিও দুজনই একাধিক জীবন দেন। ব্যক্তিগত ৬৬ ও ৭৪ রানের সময় জীবন পাওয়া ইমরুল আউট হন ৭৮ রান করে। তবে সাকিবকে সঙ্গে দিয়ে দলের রান ততক্ষণে ২০০তে নিয়ে যান ইমরুল।

রান করে গেলেও একাধিকবার আউটের সুযোগ দেন সাকিবও। ১৬ রানের সময় একবার এবং পরে ২৩ রানের মাথায়। ভাগ্য ভালো, দুবারই জীবন পেয়ে যান সাকিব। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪১ রান করে।

প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ মুশফিকের উপর এ ইনিংসে বড় দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। ৬ রানের সময় জীবন পেয়ে আউট হন ৯ করে। এরপর ১৭ বলে ১৫ রান করে সাব্বির আউট হলে লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৬৮। বাংলাদেশ লিড তখন ২৪৪ রানে।

অন্তত ৩০০ রানের লিড দরকার ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায় লাঞ্চের আগে টপাটপ করে উইকেট পড়ায়।

শুভাগত হোম ব্যাট করতে পারেন। শুভাগতকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ছিলেন তাইজুল। কিন্তু লাঞ্চের পরপরই তিনি ফিরে যান মাত্র ৫ রান করে।গত তিন ইনিংসে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মিরাজ। তাকে নিয়ে কিছু আশা করা ছিল কঠিন।এবং সেটাই হলো। মাত্র ২ রানে ফিরে যান তিনি। শেষমেষ ২৯৬ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। শুভাগত অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।

ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন। বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট। জাফর আনসারি পান ২ উইকেট।