ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগে মাদকাসক্ত নেতাদের তালিকা হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
  • ২৯৩ বার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসে এক গৌরবের নাম। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও কিছু বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের সবচে বড় এ ছাত্র সংগঠনের হারানো ঐহিত্য ফিরিয়ে আনতে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট হয়েছেন। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও এসেছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কাছ থেকে। কোনো মাদকাসক্ত যেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটির ওপর নির্দেশনাও জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে কারা কারা মাদকাসক্ত রয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেছে। গণভবন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ২০ জাতীয় সম্মেলনের পর বুধবার গণভবন ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের আদর্শিক রাজনীতি করার পরমর্শ দেন শেখ হাসিনা। সৎপথে চলে পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি এ সংগঠনের সুনাম নষ্ট করার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। বিশেষ করে যারা মাদকাসক্ত তাদের একটি তালিকা চাওয়া হয়।

এরপর থেকেই গত দুই দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু হাতে নেয়া হয়। এ বিষয়ে সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীই মাদকাসক্ত হতে পারবে না। যারা রয়েছেন তারাও যদি এসব ছেড়ে না দেন তাহলে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের তালিকা তৈরি করার কাজ শেষ হবে। তখন তাদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। যদি কেউ মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে তার পদ বাতিল হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুযোগ পাবেন না বলেও জানান তিনি।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন বলেন, ছাত্রলীগে কখনোই মাদকাসক্তদের জায়গা হয়নি, আর হবেও না। প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন। ছাত্রলীগে যে আগাছা ঢুকেছে এদের বের করার জন্য আমরা কাজ করছি। আর নতুন করে কোন ইউনিটের কমিটিতে যাতে নেশাখোর, জামাত শিবির অনুপ্রবেশ না ঘঠতে পারে সেই দিকে খেয়াল রেখে যাছাইবাছাই করে কমিটি করার জন্য বলা হয়েছে। আশা করি অতীতের ন্যায় ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্য ধরে রেখেই এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হিসেবেই পরিচিত।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির অনেক নেতার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অনেক নেতা মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বা এখনো আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ছাত্রলীগে মাদকাসক্ত নেতাদের তালিকা হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০১:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসে এক গৌরবের নাম। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও কিছু বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের সবচে বড় এ ছাত্র সংগঠনের হারানো ঐহিত্য ফিরিয়ে আনতে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট হয়েছেন। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও এসেছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কাছ থেকে। কোনো মাদকাসক্ত যেন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটির ওপর নির্দেশনাও জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে কারা কারা মাদকাসক্ত রয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেছে। গণভবন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ২০ জাতীয় সম্মেলনের পর বুধবার গণভবন ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের আদর্শিক রাজনীতি করার পরমর্শ দেন শেখ হাসিনা। সৎপথে চলে পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি এ সংগঠনের সুনাম নষ্ট করার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। বিশেষ করে যারা মাদকাসক্ত তাদের একটি তালিকা চাওয়া হয়।

এরপর থেকেই গত দুই দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু হাতে নেয়া হয়। এ বিষয়ে সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীই মাদকাসক্ত হতে পারবে না। যারা রয়েছেন তারাও যদি এসব ছেড়ে না দেন তাহলে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের তালিকা তৈরি করার কাজ শেষ হবে। তখন তাদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। যদি কেউ মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে তার পদ বাতিল হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুযোগ পাবেন না বলেও জানান তিনি।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন বলেন, ছাত্রলীগে কখনোই মাদকাসক্তদের জায়গা হয়নি, আর হবেও না। প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন। ছাত্রলীগে যে আগাছা ঢুকেছে এদের বের করার জন্য আমরা কাজ করছি। আর নতুন করে কোন ইউনিটের কমিটিতে যাতে নেশাখোর, জামাত শিবির অনুপ্রবেশ না ঘঠতে পারে সেই দিকে খেয়াল রেখে যাছাইবাছাই করে কমিটি করার জন্য বলা হয়েছে। আশা করি অতীতের ন্যায় ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্য ধরে রেখেই এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হিসেবেই পরিচিত।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির অনেক নেতার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অনেক নেতা মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বা এখনো আছেন।