ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার একইঞ্চি রাস্তাও অবৈধ দখলে দেব না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
  • ২৭৭ বার

পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা রেখে ফুটপাতের দোকানদার ও হকারদের ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, আমরা কারো আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করতে চাই না। তবে অবৈধ দখলের কারণে যানজট ও জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না। ঢাকার এক ইঞ্চি রাস্তাও অবৈধভাবে কাউকে দখলে রাখতে দেব না।

শনিবার ডিএসসিসি নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ফুটপাত ও রাস্তার জায়গা দখলকারীদের ব্যাপারে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না।’ সিটি করপোরেশন হকারদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ফুটপাত দখলমুক্ত হবে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাই। গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে নগর ভবনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত পরশু সেখানে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট গেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন।

সাঈদ খোকন বলেন, সেদিনের ঘটনায় একটা ষড়যন্ত্র ছিল। যখন মেয়র-কাউন্সিলররা নগরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন, তখন একটি পক্ষের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়। তারাই এ ষড়যন্ত্র করেছে। হকার নামধারী কিছু সন্ত্রাসী নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন। এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃসাহসিক কাজ। কোনোভাবেই তা মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা যদি ভবিষ্যতে হয়, তবে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এ শহরের ৬০-৬৫ শতাংশ লোক পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যান। তাঁদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমাদের প্রয়াস চলছে। এ শহরের মানুষের জীবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। শহরে গরিব–দুঃখী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। কিন্তু তার মানে এই নয় যা ইচ্ছা তা–ই করবে, সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাবে, আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবে।

গুলিস্তানের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সাব্বিরের প্রক্যাশ্যে পিস্তল প্রদর্শনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র বলেন, গুলিস্তানে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু লোক উচ্ছ্বাসের বশবর্তী হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটা আমরা সমর্থন করি না। এ ঘটনা একটা মহতি উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে বলা আছে, তারা নিজস্ব গতিতে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে ডিএসসিসি কর্মচারী ও একদল যুবকের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। কয়েকটি ফাঁকা গুলি করা হয়। দুই যুবকককে পিস্তল ও রিভলবার হাতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের মধ্যে একজন ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। অন্যজন ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান। তাঁদের মধ্যে সাব্বির হোসেন দাবি করেন, তিনি সেখানে গেলেও তাঁর সঙ্গে কোনো অস্ত্র ছিল না।

সভায় অর্ধশতাধিক কাউন্সিলর ছাড়াও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঢাকার একইঞ্চি রাস্তাও অবৈধ দখলে দেব না

আপডেট টাইম : ০১:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

পথচারীদের হাঁটার ব্যবস্থা রেখে ফুটপাতের দোকানদার ও হকারদের ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, আমরা কারো আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করতে চাই না। তবে অবৈধ দখলের কারণে যানজট ও জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না। ঢাকার এক ইঞ্চি রাস্তাও অবৈধভাবে কাউকে দখলে রাখতে দেব না।

শনিবার ডিএসসিসি নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ফুটপাত ও রাস্তার জায়গা দখলকারীদের ব্যাপারে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না।’ সিটি করপোরেশন হকারদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ফুটপাত দখলমুক্ত হবে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাই। গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে নগর ভবনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত পরশু সেখানে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট গেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন।

সাঈদ খোকন বলেন, সেদিনের ঘটনায় একটা ষড়যন্ত্র ছিল। যখন মেয়র-কাউন্সিলররা নগরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন, তখন একটি পক্ষের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়। তারাই এ ষড়যন্ত্র করেছে। হকার নামধারী কিছু সন্ত্রাসী নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন। এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃসাহসিক কাজ। কোনোভাবেই তা মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা যদি ভবিষ্যতে হয়, তবে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এ শহরের ৬০-৬৫ শতাংশ লোক পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যান। তাঁদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমাদের প্রয়াস চলছে। এ শহরের মানুষের জীবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। শহরে গরিব–দুঃখী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। কিন্তু তার মানে এই নয় যা ইচ্ছা তা–ই করবে, সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাবে, আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবে।

গুলিস্তানের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সাব্বিরের প্রক্যাশ্যে পিস্তল প্রদর্শনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র বলেন, গুলিস্তানে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু লোক উচ্ছ্বাসের বশবর্তী হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটা আমরা সমর্থন করি না। এ ঘটনা একটা মহতি উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে বলা আছে, তারা নিজস্ব গতিতে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে ডিএসসিসি কর্মচারী ও একদল যুবকের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। কয়েকটি ফাঁকা গুলি করা হয়। দুই যুবকককে পিস্তল ও রিভলবার হাতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের মধ্যে একজন ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। অন্যজন ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান। তাঁদের মধ্যে সাব্বির হোসেন দাবি করেন, তিনি সেখানে গেলেও তাঁর সঙ্গে কোনো অস্ত্র ছিল না।

সভায় অর্ধশতাধিক কাউন্সিলর ছাড়াও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।