লাঞ্চের আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু নবম উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। ৮ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার তিনিই।
এর আগে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ যখন নড়বড়ে। তখন একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন জো রুট। শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানেই থামতে হল রুটকে। পথের কাঁটা রুটকে ফিরিয়েছেন তাইজুল।
আট নম্বরে ব্যাট করতে আসা আনসারিকে ফিরিয়ে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। তাছাড়া রুট-বেয়ারস্টোর প্রতিরোধও ভাঙেন মিরাজ। ব্যক্তিগত ২৪ রানে বেয়ারস্টোকে এলবির ফাঁদে পেলেন মিরাজ।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বিপদজনক হয়ে ওঠার আগে মঈন আলীকে সরাসরি বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তাইজুল ফেরান বেন স্টোকসকে। প্রথম দিন দলীয় ১০ রানের মাথায় ডাকেটকে ফেরান সাকিব। আউট হওয়ার আগে ৭ রান করেছেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এরপর চলে ‘মিরাজ শো’। দলনেতা অ্যালিস্টার কুক ও গ্যারি ব্যালান্সকে বিদায় করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ২২০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরুটা দারুণ করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও মমিনুল হক। দুজন মিলে গড়েন ১৭০ রানের এক দৃষ্টিনন্দন জুটি। কিন্তু এই দুইজন আউট হওয়ার পর বাকী ব্যাটসম্যানরা ফিরে খুব দ্রুতই। স্কোর বোর্ডে ৩০ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরে যান আরও ৮ জন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে মমিনুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ১৩ রান ও সাকিব করেছেন ১০ রান। বাকী ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।
৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মঈন আলী। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস। বাকি ২ উইকেট শিকার করেছেন বেন স্টোকস।