ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নতুন নীতিমালা জারি ইসির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৯ বার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রধান করে কমিটি করার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।

অতীতের সব নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারাই করে আসছিলেন।

কিন্তু গত সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন এই কাজের দায়িত্ব দেন স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে। সে সময় এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ পুরুষ ভোটারের জন্য ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। বিদ্যমান ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা নদী ভাঙন বা অন্য কোনো কারণে বিলুপ্ত/ব্যবহারের অনুপযোগী হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

এছাড়া ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন হলেও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/নির্বাচিত প্রতিনিধি/রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও তালিকা নির্ধারণ করতে হবে।

কোনো ভোটার এলাকার ভোটারদের যেন কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র অতিক্রম করে দূরের কোনো ভোটকেন্দ্রে যেতে না হয়, সেটাও দেখতে বলা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। এ ছাড়া বিদ্যমান ভোটকেন্দ্রগুলো যথাসম্ভব অপরিবর্তনীয় রাখার চেষ্টা করতেও বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নতুন নীতিমালা জারি ইসির

আপডেট টাইম : ১২:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রধান করে কমিটি করার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।

অতীতের সব নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারাই করে আসছিলেন।

কিন্তু গত সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন এই কাজের দায়িত্ব দেন স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে। সে সময় এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ পুরুষ ভোটারের জন্য ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। বিদ্যমান ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা নদী ভাঙন বা অন্য কোনো কারণে বিলুপ্ত/ব্যবহারের অনুপযোগী হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

এছাড়া ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন হলেও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/নির্বাচিত প্রতিনিধি/রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও তালিকা নির্ধারণ করতে হবে।

কোনো ভোটার এলাকার ভোটারদের যেন কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র অতিক্রম করে দূরের কোনো ভোটকেন্দ্রে যেতে না হয়, সেটাও দেখতে বলা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। এ ছাড়া বিদ্যমান ভোটকেন্দ্রগুলো যথাসম্ভব অপরিবর্তনীয় রাখার চেষ্টা করতেও বলা হয়েছে।