ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বছর পেরিয়ে জুলাই আসছে, আরও যেসব বার্তা দিলেন উমামা ফাতেমা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার
আজ ৩৬৫ জুলাই বলে’ মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতে। সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে। ফলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবার বহাল হয়।

এর প্রতিবাদে পরদিন ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ছাত্ররা। সেদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে উঠে বিখ্যাত স্লোগান—‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা।’প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম। দাবি ছিল— ২০১৮ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে হবে।এরপর আন্দোলনে আন্দোলনে জুলাইয়ের প্রথমার্ধে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের অবরোধ-বিক্ষোভ জোরদার হয়।

১১ জুলাই হাইকোর্ট জানান, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে। আন্দোলন যখন আরো তীব্র হয়, পুলিশ সতর্কবার্তা দেয় আর মন্ত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়— শুরু দেশের ইতিহাসে অভুতপূর্ব আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’। কয়েকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও ঘটে।১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা হামলা চালালে আন্দোলন আরো জোরালো হয়।

এরপর ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাইদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।

পরদিন ১৭ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত চলে টানা বিক্ষোভ। স্বৈারাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একের পর এক চলে ছাত্রদের ওপর গুলি। এতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ জনতার মাঝেও। কোটা পুনর্বহালের দাবি ততদিনে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বছর পেরিয়ে জুলাই আসছে, আরও যেসব বার্তা দিলেন উমামা ফাতেমা

আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
আজ ৩৬৫ জুলাই বলে’ মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতে। সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে। ফলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবার বহাল হয়।

এর প্রতিবাদে পরদিন ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ছাত্ররা। সেদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে উঠে বিখ্যাত স্লোগান—‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা।’প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম। দাবি ছিল— ২০১৮ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে হবে।এরপর আন্দোলনে আন্দোলনে জুলাইয়ের প্রথমার্ধে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের অবরোধ-বিক্ষোভ জোরদার হয়।

১১ জুলাই হাইকোর্ট জানান, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে। আন্দোলন যখন আরো তীব্র হয়, পুলিশ সতর্কবার্তা দেয় আর মন্ত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়— শুরু দেশের ইতিহাসে অভুতপূর্ব আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’। কয়েকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও ঘটে।১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা হামলা চালালে আন্দোলন আরো জোরালো হয়।

এরপর ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাইদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।

পরদিন ১৭ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত চলে টানা বিক্ষোভ। স্বৈারাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একের পর এক চলে ছাত্রদের ওপর গুলি। এতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ জনতার মাঝেও। কোটা পুনর্বহালের দাবি ততদিনে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে।