ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ে ক্যান্টিন নিয়ে মারামারি: কর্মচারীদের বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ১৫ বার

সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের বিরুদ্ধে অন্যপক্ষ বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার (২৯ জুন) দুপুরে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ‘নূরুল-মোজাহিদ’ অংশের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ৪০-৫০ জন কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে সচিবালয়ের ক্যান্টিন পরিচালনাকে কেন্দ্র করে নূরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীরের নেতৃত্বাধীন দুইপক্ষের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির আওতাধীন ক্যান্টিন ও দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

সচিবালয় ও ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির পুরাতন ও বর্তমান এডহক কমিটির মধ্যে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে নতুন এডহক কমিটির সমর্থক ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (৫৮), কৃষি মন্ত্রণালায়ের প্রশাসনিক কর্মকতা ওবায়দুল রবিকে (৪৫) পুরাতন কমিটির লোকজন এলোপাথাড়িভাবে মাথায় ও শরীরে আঘাত করেন। তার সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নূরুল ইসলাম গ্রুপের অভিযোগ, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাদিউল কবীর নিজে এবং তার সঙ্গে ছিলেন সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম। হামলায় বাদিউল, মঈনুল ও সালাম অংশ নেন জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে বক্তব্য দেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, সরকারের কিছু প্রেতাত্মা আমাদের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। এখন তারা টাকার বিনিময়ে চুপচাপ ঘরে বসে আছে। কিন্তু আমরা চুপ থাকবো না।

তিনি আরও জানান, ২৪ জুন সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামসহ পরিষদের শীর্ষ নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়, যার পরিণতিতে নূরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এটা কার নির্দেশে?—প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তাদের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সচিবালয় মাস্তানি করার জায়গা না। ১৮ হাজার কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করবো। আজ হোক, কাল হোক—এখান থেকেই বিচার করবো ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের আন্দোলনে আর কেউ যাবেন না। প্রতিহত করতে হবে।

আগামীকাল (সোমবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বাধীন অংশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সচিবালয়ে ক্যান্টিন নিয়ে মারামারি: কর্মচারীদের বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৪:২৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের বিরুদ্ধে অন্যপক্ষ বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার (২৯ জুন) দুপুরে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ‘নূরুল-মোজাহিদ’ অংশের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ৪০-৫০ জন কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে সচিবালয়ের ক্যান্টিন পরিচালনাকে কেন্দ্র করে নূরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীরের নেতৃত্বাধীন দুইপক্ষের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির আওতাধীন ক্যান্টিন ও দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

সচিবালয় ও ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির পুরাতন ও বর্তমান এডহক কমিটির মধ্যে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে নতুন এডহক কমিটির সমর্থক ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (৫৮), কৃষি মন্ত্রণালায়ের প্রশাসনিক কর্মকতা ওবায়দুল রবিকে (৪৫) পুরাতন কমিটির লোকজন এলোপাথাড়িভাবে মাথায় ও শরীরে আঘাত করেন। তার সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নূরুল ইসলাম গ্রুপের অভিযোগ, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাদিউল কবীর নিজে এবং তার সঙ্গে ছিলেন সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম। হামলায় বাদিউল, মঈনুল ও সালাম অংশ নেন জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে বক্তব্য দেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, সরকারের কিছু প্রেতাত্মা আমাদের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। এখন তারা টাকার বিনিময়ে চুপচাপ ঘরে বসে আছে। কিন্তু আমরা চুপ থাকবো না।

তিনি আরও জানান, ২৪ জুন সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামসহ পরিষদের শীর্ষ নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়, যার পরিণতিতে নূরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এটা কার নির্দেশে?—প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তাদের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সচিবালয় মাস্তানি করার জায়গা না। ১৮ হাজার কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করবো। আজ হোক, কাল হোক—এখান থেকেই বিচার করবো ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের আন্দোলনে আর কেউ যাবেন না। প্রতিহত করতে হবে।

আগামীকাল (সোমবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বাধীন অংশ।