যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির আশা জাগলেও বাস্তবতা ভিন্নই দেখাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির সময় গণনা শুরুর আগেই ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। হামলার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে ওঠে, বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি এবং টাইমস অব ইসরায়েলের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরানের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে এবং সেগুলো প্রতিহত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বীরশেবা অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সাইরেন বাজার পর অনেক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের সামরিক অভিযান তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
এর আগে, সোমবার রাতে ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, ইসরায়েল ও ইরান একটি সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে এবং এই বিরতি কার্যকর হবে ছয় ঘণ্টার মধ্যে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ১২ ঘণ্টা ইরান এবং পরবর্তী ১২ ঘণ্টা ইসরায়েল অস্ত্র বিরত রাখবে বলে জানান তিনি।
তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক ঘোষণা আর বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান থেকেই যাচ্ছে। দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ও সামরিক অবস্থানই নির্ধারণ করবে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কতটা স্থায়ী হতে পারে।