ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অফিস করতে সকালেই ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ১৫ বার

ঈদুল আজহা উদযাপন ও ছুটি শেষে অফিস করতে সকালেই স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা। বাস থেকে নেমেই কেউ বাসায় যাচ্ছেন আবার কেউ অফিসে যেতে সিএনজি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর গাবতলি বাস স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সকাল থেকে গ্রাম হতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি এবং অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

নওগাঁ থেকে আসা যাত্রী ফুল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুন্দর মতো আসতে পেরেছি। কোথাও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। আমি সরাসরি অফিসে যাবো। আমার অফিস কারওয়ান বাজার। আগে মিরপুর-১০ যাবো। সেখান থেকে মেট্রোরেলে করে কারওয়ান বাজারে যাবো। তা না হলে দেরি হয়ে যাবে।

রাজধানীর গাবতলির একজন বাস শ্রমিক বলেন, ঈদের ছুটির পর রাজধানী এখনও তুলনামূলক ফাঁকা। ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও রাস্তার অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও বড় ধরনের জট বা বিশৃঙ্খলা হয়নি। গতকাল কিছুটা চাপ ছিল। আজকে ফাঁকা। যারা অফিস করবে তারা অনেকেই গতকাল চলে এসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর থেকে এমএম পরিবহন ও কুষ্টিয়া থেকে শ্যামলী পরিবহনের দুইটি বাস গাবতলি বাস স্টেশনের বিপরীত পাশে থামেন। সেখানে যাত্রীদের হাতে ও কাধে ব্যাগ নিয়ে নামতে দেখা যায়। কেউ আসছেন একা, আবার কেউ আসছেন পরিবার নিয়ে, সঙ্গে ছিল আদরের সন্তানরা। কারো কারো চোখে মুখে ঘুমের প্রশান্তি, আবার কারো কারো রাত জাগার ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। শুধু এই দুটি বাস নয়,  উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সব বাস যাত্রীদের নেমেই তাড়াহুড়া করে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। গাবতলি টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে।

বাসস্ট্যান্ড জুড়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়া থাকলেও তারা স্বস্তিতেই ঢাকা ফিরছেন যাত্রীরা। যমুনা ব্রিজে যেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়ে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী। তবে যাওয়ার তুলনায় এবার ঈদের পরের দিনগুলোতে ফেরার অভিজ্ঞতা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। গাবতলি, টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, শ্যামলী এলাকা এখন লাগেজ, ব্যাগ, বস্তা বহনকারী গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের আনাগোনায় মুখর। অনেককেই গ্রামে কোরবানি দেওয়া মাংস বহন করতেও দেখা গেছে।

বাসচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় যানজট না থাকায় ভ্রমণ সময় কম লেগেছে এবং ক্লান্তি ছিল তুলনামূলক কম।

গাবতলি এলাকার পুলিশের সার্জেন্ট অনিরুদ্ধ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা চাপ ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কিছুটা চাপ কম। যানজট যাতে না লাগে, যাত্রী যাতে সহজেই তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে, তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অফিস করতে সকালেই ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা

আপডেট টাইম : ১১:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহা উদযাপন ও ছুটি শেষে অফিস করতে সকালেই স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা। বাস থেকে নেমেই কেউ বাসায় যাচ্ছেন আবার কেউ অফিসে যেতে সিএনজি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর গাবতলি বাস স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সকাল থেকে গ্রাম হতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি এবং অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

নওগাঁ থেকে আসা যাত্রী ফুল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুন্দর মতো আসতে পেরেছি। কোথাও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। আমি সরাসরি অফিসে যাবো। আমার অফিস কারওয়ান বাজার। আগে মিরপুর-১০ যাবো। সেখান থেকে মেট্রোরেলে করে কারওয়ান বাজারে যাবো। তা না হলে দেরি হয়ে যাবে।

রাজধানীর গাবতলির একজন বাস শ্রমিক বলেন, ঈদের ছুটির পর রাজধানী এখনও তুলনামূলক ফাঁকা। ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও রাস্তার অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও বড় ধরনের জট বা বিশৃঙ্খলা হয়নি। গতকাল কিছুটা চাপ ছিল। আজকে ফাঁকা। যারা অফিস করবে তারা অনেকেই গতকাল চলে এসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর থেকে এমএম পরিবহন ও কুষ্টিয়া থেকে শ্যামলী পরিবহনের দুইটি বাস গাবতলি বাস স্টেশনের বিপরীত পাশে থামেন। সেখানে যাত্রীদের হাতে ও কাধে ব্যাগ নিয়ে নামতে দেখা যায়। কেউ আসছেন একা, আবার কেউ আসছেন পরিবার নিয়ে, সঙ্গে ছিল আদরের সন্তানরা। কারো কারো চোখে মুখে ঘুমের প্রশান্তি, আবার কারো কারো রাত জাগার ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। শুধু এই দুটি বাস নয়,  উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সব বাস যাত্রীদের নেমেই তাড়াহুড়া করে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। গাবতলি টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে।

বাসস্ট্যান্ড জুড়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়া থাকলেও তারা স্বস্তিতেই ঢাকা ফিরছেন যাত্রীরা। যমুনা ব্রিজে যেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়ে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী। তবে যাওয়ার তুলনায় এবার ঈদের পরের দিনগুলোতে ফেরার অভিজ্ঞতা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। গাবতলি, টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, শ্যামলী এলাকা এখন লাগেজ, ব্যাগ, বস্তা বহনকারী গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের আনাগোনায় মুখর। অনেককেই গ্রামে কোরবানি দেওয়া মাংস বহন করতেও দেখা গেছে।

বাসচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় যানজট না থাকায় ভ্রমণ সময় কম লেগেছে এবং ক্লান্তি ছিল তুলনামূলক কম।

গাবতলি এলাকার পুলিশের সার্জেন্ট অনিরুদ্ধ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা চাপ ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কিছুটা চাপ কম। যানজট যাতে না লাগে, যাত্রী যাতে সহজেই তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে, তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।