ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আমাকে কালো জাদু করা হয়েছিল, ২২ দিন আইসিউতে ছিলাম সড়কপথে গাজার দিকে রওনা দিয়েছেন শত শত অধিকারকর্মী বিচ্ছেদকে বিদায়, যেভাবে ফের বান্ধবীর সঙ্গে এক হলেন এনজো ফার্নান্দেজ দেশ চালানোর মতো ক্ষমতা তারেক রহমানের আছে: ফজলুর রহমান লন্ডন বৈঠক সরকার ও বিএনপি উভয়ের জন্যই সুযোগ জাল টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাবেন অপু বিশ্বাস পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি, খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের অনন্য ভূমিকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি

ঈদুল আযহা: এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ৪ বার

এবারের ইদুল আজহায় দেশের এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে গতবছর যেখানে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে ২ লাখের কিছু বেশি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেখানে এ বছর ৯৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণ করেছে।

এছাড়া সারা দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকগণ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে বলেও জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মে. টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিলো, কোথাও কোন ঘাটতি ছিলো না।

তবে এরপরও কুরবানির পশুর চামড়া ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কথা স্বীকার করে মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কর্তৃক চামড়ার লবণ না দিয়ে আড়তদাতদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদারগণ কর্তৃক চামড়া ক্রয় অনিহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে কুরবানির পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকদের নির্দেশনা দেওয়ার পরও কেউ কেউ নদীর পাড়ে এসব ফেলেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা কেউ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

ঈদুল আযহা: এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

এবারের ইদুল আজহায় দেশের এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে গতবছর যেখানে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে ২ লাখের কিছু বেশি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেখানে এ বছর ৯৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখের বেশি চামড়া সংরক্ষণ করেছে।

এছাড়া সারা দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকগণ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে বলেও জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মে. টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিলো, কোথাও কোন ঘাটতি ছিলো না।

তবে এরপরও কুরবানির পশুর চামড়া ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কথা স্বীকার করে মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কর্তৃক চামড়ার লবণ না দিয়ে আড়তদাতদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদারগণ কর্তৃক চামড়া ক্রয় অনিহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে কুরবানির পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকদের নির্দেশনা দেওয়ার পরও কেউ কেউ নদীর পাড়ে এসব ফেলেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা কেউ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।