পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেই সাধারণত বেশি পশু কোরবানি হয়ে থাকে। তবে, নানা কারণে যারা ঈদের প্রথম দিন কোরবানি দিতে পারেন না বা দেন না তাদের জন্য সুযোগ থাকে পরের দিন পশু কোরবানি করার।
ঈদের পরদিন সারা দিনই কোরবানি করা যায়। ফজরের পর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতেও পশু কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। তবে রাতে কোরবানি করা অনুত্তম, কারণ পশু জবাইয়ে ভুল হওয়ার আশংকা থাকে।
শরিয়তে কোরবানির মোট সময় তিন দিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না। অর্থাৎ আজকের পরেও আরও একদিন পশু কোরবানির সুযোগ থাকছে।
যদিও ঈদুল আজহার প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম, তারপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।
আর যদি কোরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে তাহলে কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি পশুর মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে থাকে, কিন্তু কোনও কারণে কোরবানি দেয়া হয়নি, তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দেবে।