মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী “জাহাঙ্গীপুর তহুরা আমিন (টি আমিন) সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” মাঠে বসেছে গরু-ছাগলের হাট।
এতে গরু ছাগলের পায়ে পিষ্ট হয়ে বিনষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয় মাঠ। খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হচ্ছে পুরো মাঠের খেলার পরিবেশ। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয় মাঠে গরু বসানোর কারণে বাজারের মোতাওয়াল্লীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও অলিদুজ্জামান।
জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাহাঙ্গীপুর তহুরা আমিন (টি আমিন) সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে পশুর বিশাল হাট বসে। তবে প্রতি বছর দেওয়ান জাহের বখত গং নামের ওয়াকফস্টেইট বাজার পরিচালনা কমিটি এ বাজার বসান। স্টেইটের মোতাওয়াল্লী প্রভাবশালী হওয়া, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানালেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এ নিয়েও রয়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ।
সোমবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় কয়েক হাজার গরু-ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছে বিক্রেতারা। তারা মাঠে খুঁটি পুঁতে বেধেঁও রেখেছে এসব পশু। এতে গরুর পায়ের আঘাতে ও মলমূত্রে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ঘাস। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে এ হাট অথচ সোমবার না থাকলেও ঈদুল আজহায় বসানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এই গরু ছাগলের হাট বসানোর কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় মাঠে সারাক্ষণ কাঁদা জমে থাকে। আমরা চাই এই গরুর হাট বন্ধ হোক। গরুর হাটের কারণে বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, এ বিষয়ে প্রতি বছর লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু কোন কাজ হয় না। বরং আমি শত্রু বাড়াই।
দেওয়ান জাহের বখত গং নামের ওয়াকফস্টেইট এর মোতাওয়াল্লী দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন শফিক জানান, এই মাঠে আমি গরু তুলি নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন। বিকাল ৫ ঘটিকার সময় অফিসে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান বলেন, কি কারণে বিদ্যালয়ের মাঠে গরু উঠেছে এ বিষয়ে দেওয়ান জাহের বখত গং ওয়াকফস্টেইটের মোতাওয়াল্লীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিকেল ৫ ঘটিকার সময় এ নিয়ে শুনানীর জন্য ডাকা হয়েছে।