সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হলে দেশজুড়ে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একই সঙ্গে তারা বলেন, আন্দোলনে অধ্যাদেশ বাতিলের পাশাপাশি আরও কঠিন দাবি গুলো ও যুক্ত করা হবে।
রোববার সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম,কো- মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম ।
নুরুল ইসলাম বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ আমাদের সব বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। আমরা তিনজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এরপর ওই সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (৩১ মে) দেশে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে আমাদের একটা ফলাফল জানাবেন। রোববারের মধ্যে একটি ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করছি। এ কারণে আজকের কর্মসূচি কিছুটা নমনীয় রেখে শুধু স্মারকলিপি প্রদানেই সীমাবদ্ধ রেখেছি।”
তিনি আরও জানান, স্মারকলিপি প্রদান শেষে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। “সারাদেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আজ বিকেলে ঘোষিত কর্মসূচি দেশব্যাপী পালন করুন,” বলেন তিনি।
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বলেন, “আমি এক সচিবকে অনুরোধ করেছি— স্যার, আমাদের ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। এর আগে যদি একটি সুখবর পাই, তাহলে আমরা সবাই হাসিমুখে ঈদ উদযাপন করতে পারব। কিন্তু যদি তা না হয়, তবে এই আন্দোলন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। তখন আমরা বাধ্য হবো অন্যান্য কঠিন দাবি যুক্ত করতে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি সরকার এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করে, আমরা স্যালুট দিয়ে ঘরে ফিরব। কিন্তু যদি তা না হয়, আমরা একযোগে আরও কঠিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামব, ইনশাআল্লাহ।”
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, অনেক উপদেষ্টাই জানতেন না এই অধ্যাদেশের ব্যাপারে। “যদি সত্যিই তাঁদের নলেজে না থাকে, তবে আমরা জানতে চাই, কারা গোপনে এই অধ্যাদেশ প্রণয়নে কাজ করেছেন। সরকারকে অনুরোধ করছি, এসব কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করুন। অন্যথায় আমরা নিজেরাই তাদের খুঁজে বের করব এবং নাম ধরে ধরে সচিবালয়ে মিছিল করব