ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবি সাদা দলের সাথে বৈঠক দেশের সংকটকালে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ২৯ বার

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম ও প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকারের নেতৃত্বে এই বৈঠকে সাদা দলের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন সাদা দলের শিক্ষকরা। তারা বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং বিরোধী মতের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির নানা দিক তুলে ধরেন। তারা জানান, কিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিন্নমতের ওপর দমননীতি প্রয়োগ করেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিবরণও দেন তারা।

তারেক রহমান শিক্ষকদের বক্তব্য গভীর মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাদের খোলামেলা মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পুরো আলোচনা চলাকালীন তিনি ছিলেন মনোযোগী শ্রোতা এবং বৈঠকের সমাপ্তিতে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে তারেক রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার। অতীতে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গণআন্দোলনেও তাদের অবদান ছিল অতুলনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “তবে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধ, সাহসী এবং সচেতন থাকতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. আব্দুর রশিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাদা দলের নেতা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, প্রফেসর ড. মো. মহিউদ্দিন, মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. তাহমিনা আক্তার টফি, প্রফেসর মো. আবুল কাওছার, প্রফেসর ড. মো. শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম জাহিদ, মো. আল-আমিন, প্রফেসর ড. মো. জসীম উদ্দিন, প্রফেসর ড. আবু আসাদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. আ ফ ম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর শাহ শামীম আহমেদ, মো. ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ-কুয়েম মৈত্রী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবা সুলতানা, বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এসএম আলী রেজাসহ আরও অনেক প্রফেসর ও শিক্ষকবৃন্দ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি সাদা দলের সাথে বৈঠক দেশের সংকটকালে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

আপডেট টাইম : ১০:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম ও প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকারের নেতৃত্বে এই বৈঠকে সাদা দলের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন সাদা দলের শিক্ষকরা। তারা বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং বিরোধী মতের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির নানা দিক তুলে ধরেন। তারা জানান, কিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিন্নমতের ওপর দমননীতি প্রয়োগ করেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিবরণও দেন তারা।

তারেক রহমান শিক্ষকদের বক্তব্য গভীর মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাদের খোলামেলা মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পুরো আলোচনা চলাকালীন তিনি ছিলেন মনোযোগী শ্রোতা এবং বৈঠকের সমাপ্তিতে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে তারেক রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার। অতীতে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গণআন্দোলনেও তাদের অবদান ছিল অতুলনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “তবে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধ, সাহসী এবং সচেতন থাকতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. আব্দুর রশিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাদা দলের নেতা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, প্রফেসর ড. মো. মহিউদ্দিন, মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. তাহমিনা আক্তার টফি, প্রফেসর মো. আবুল কাওছার, প্রফেসর ড. মো. শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম জাহিদ, মো. আল-আমিন, প্রফেসর ড. মো. জসীম উদ্দিন, প্রফেসর ড. আবু আসাদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. আ ফ ম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর শাহ শামীম আহমেদ, মো. ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ-কুয়েম মৈত্রী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবা সুলতানা, বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এসএম আলী রেজাসহ আরও অনেক প্রফেসর ও শিক্ষকবৃন্দ