সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারির উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনটির অভিযোগ, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল এবং এটি সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি ।
রোববার (২৫ মে) বিকেলে এক বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি এম এ হান্নান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ায় কর্মচারীবিরোধী বহু ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না রেখেই চাকরি থেকে চূড়ান্ত অবসানের বিধান রাখা হয়েছে—যা পুরোপুরি অমানবিক ও অবিচারমূলক।”
পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে কোনো স্বীকৃত সংগঠন বা জনমত যাচাই করা হয়নি। তারা মনে করছে, এটি একটি ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’। বিবৃতিতে বলা হয়, “ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিতর্কিত সরকারের পতনের পর যখন দেশ নির্বাচনমুখী, তখন এমন অধ্যাদেশ এনে কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ করে তোলার চেষ্টা চরম দায়িত্বহীনতা ও উদ্দেশ্যমূলক।”
পরিষদের দাবি, এ উদ্যোগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। না হলে, সারা দেশের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বড় পরিসরে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধের মতো কর্মসূচিও নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।