আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং (আইনি মতামত) নেওয়া সাপেক্ষে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উক্ত অধ্যাদেশ জারির পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্টেকহোল্ডারদের (অংশীদার) সাথে কোনো আলোচনা না করেই গোপনে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে জানা যায় গত ২২ মে তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্ঠা পরিষদে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রচার সম্পাদক মো. মোফাচ্ছেল হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক, সমগ্র দেশের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের (অংশীদার) সাথে কোনো আলোচনা না করেই বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ায় কর্মচারীদের সাংবিধানিক মৌলিক Didn’t ক্ষুন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিধায় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে স্টেকহোল্ডারদের (অংশীদার) সাথে আলোচনার অনুরোধ জানাচ্ছি। তা না হলে সচিবালয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। প্রয়োজনে নিজেদের মধ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে নির্বিশেষে সকলে মিলে এক প্লাটফরমে এসে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। কারণ ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ হলো একটা কালো আইন/বিধি।
এ বিধি দিয়ে কর্মচারীদের উপর মানষিক নির্যাতনের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কর্মচারীরা কোনভাবেই এটা মেনে নিবেনা। অবিলম্বে এ আইনটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।