অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের পাশাপাশি বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম) রয়েছেন, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন,‘জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।এতে জনমনে ও রাজনৈতিক দলগুলো স্বস্তি বা আস্থা পাবে।’
তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে এনসিপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন নাহিদ ইসলাম।
দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা সরকারে থেকে সেটা পারবে না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের একটি তালিকা ২২ মে প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই তালিকার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে তালিকা করা হয়েছে, সেটি যদি আরও আগেই, ৫ আগস্টের পরপরই প্রকাশ করা হতো তাহলে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য আসত না।
‘এ ছাড়া আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কের ঘটনা এর আগে ঘটেছে। আমরা ওয়ান-ইলেভেনর মতো ঘটনা দেখেছি। এগুলো কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে আনেনি’, বলেন এনসিপির আহ্বায়ক।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।