ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেজাল নিয়ন্ত্রণে রোজায় ঢাকায় ৪ মোবাইল কোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫
  • ৪০৬ বার
রমজান উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আসন্ন রমজান উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা জানান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় যাতে অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতাগণ ভেজাল খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত থাকে, সে লক্ষ্যে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৪টি করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে বিএসটিআই’র আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে এ ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে।
ঢাকা মহানগরীর বাইরে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যখন-তখন যেকোন জায়গায় আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। রাস্তার পাশের শরবতের দোকান থেকে বড় বড় ফ্যাকটরি সব জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
তিনি আরও বলেন, অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন যেমনঃ মুড়ি, খেজুর, কলা, সফ্ট ড্রিংক পাউডার, ফ্রুট জুস/ ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ইত্যাদির ওপর বিশেষভাবে নজরে থাকবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা যে ধর্মে বিশ্বাস করুন না কেন, ভেজাল খাবার বিক্রি করলে তারা উপকৃত হবেন না। তাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, রমজানে যাতে নির্ভেজাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইফতার ও সেহেরীতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত ৩০টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে ও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই ২০১৪ থেকে ১৫ জুন, ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ গত সাড়ে ১১ মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মোবাইল কোর্ট/সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে নিুমানের/ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারী/বিক্রেতার বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্তৃক দুই কোটি সাতাত্তর লাখ আটাত্তর হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে একই সময়ে ৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভেজাল নিয়ন্ত্রণে রোজায় ঢাকায় ৪ মোবাইল কোর্ট

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০১৫
রমজান উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আসন্ন রমজান উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা জানান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় যাতে অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতাগণ ভেজাল খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত থাকে, সে লক্ষ্যে বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৪টি করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে বিএসটিআই’র আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে এ ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে।
ঢাকা মহানগরীর বাইরে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যখন-তখন যেকোন জায়গায় আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। রাস্তার পাশের শরবতের দোকান থেকে বড় বড় ফ্যাকটরি সব জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
তিনি আরও বলেন, অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন যেমনঃ মুড়ি, খেজুর, কলা, সফ্ট ড্রিংক পাউডার, ফ্রুট জুস/ ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ইত্যাদির ওপর বিশেষভাবে নজরে থাকবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা যে ধর্মে বিশ্বাস করুন না কেন, ভেজাল খাবার বিক্রি করলে তারা উপকৃত হবেন না। তাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, রমজানে যাতে নির্ভেজাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইফতার ও সেহেরীতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত ৩০টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে ও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই ২০১৪ থেকে ১৫ জুন, ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ গত সাড়ে ১১ মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মোবাইল কোর্ট/সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে নিুমানের/ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারী/বিক্রেতার বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্তৃক দুই কোটি সাতাত্তর লাখ আটাত্তর হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে একই সময়ে ৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।