ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ২ গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ২৩ বার

পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন- ১ অধিশাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে এখন থেকে উক্ত আগ্রাসী প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশিয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, উক্ত প্রজাতির গাছ মাটি থেকে অত্যধিক পানি শোষণ করে, ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং শুষ্ক বা মৌসুমী জলবায়ুযুক্ত এলাকায় এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। এই গাছের পাতায় থাকা টক্সিন গোড়ায় পড়ে মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে, যার ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। এগুলোর চারপাশে অন্য কোনো গাছ সহজে জন্মাতে পারে না। এটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি, কারণ বহু দেশীয় গাছ, পোকামাকড় ও পাখি এই গাছে বাসা বাঁধে না বা খাদ্য খুঁজে পায় না।

তাই পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সকল সংস্থা ও নাগরিককে দেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে ২ গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৩:১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন- ১ অধিশাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে এখন থেকে উক্ত আগ্রাসী প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশিয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, উক্ত প্রজাতির গাছ মাটি থেকে অত্যধিক পানি শোষণ করে, ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং শুষ্ক বা মৌসুমী জলবায়ুযুক্ত এলাকায় এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। এই গাছের পাতায় থাকা টক্সিন গোড়ায় পড়ে মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে, যার ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। এগুলোর চারপাশে অন্য কোনো গাছ সহজে জন্মাতে পারে না। এটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি, কারণ বহু দেশীয় গাছ, পোকামাকড় ও পাখি এই গাছে বাসা বাঁধে না বা খাদ্য খুঁজে পায় না।

তাই পরিবেশ সুরক্ষা এবং প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সকল সংস্থা ও নাগরিককে দেশি প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।