সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধান সংযোজন এবং সচিবালয়ের ভেতরে এবং মাঠ প্রশাসনে কর্মরত নন-ক্যাডার কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে কমিটি গঠনের বিরোধিতা, পদনাম পরিবর্তন, সচিবালয় রেশন ভাতা চালু, নবম পেপ-কমিশন গঠন, মহার্ঘভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১২ মে) সভা করে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিষদের নেতারা।
সভায় সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম,বাদিউল কবির মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নিজাম উদ্দিন, সচিবালয় ও অপারেটিভ এর মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত সুহেল সহ কয়েকশত কর্মচারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সংগঠন সচিবালয়ের সব সংগঠনের সভাপতি ও মহাসচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। নিপীড়নমূলক আইন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের বিরুদ্ধে তারা একটি ফ্ল্যাটফর্মে এসে একত্রিত হয়েছেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এখন থেকে কর্মচারীদের দাবী দাওয়া আদায়ের সব সংগঠন এক হয়ে কাজ করবে।
এখন থেকে দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে পৃথক কোন সংগঠন থাকবে না। তারা প্রথমে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের পেছনের ক্যান্টিনে সভা করেন। সেখানে সচিবালয়ের মধ্যে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তারা ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় গিয়ে কয়েক মিনিট মৌন প্রতিবাদ জানান।
সভা চলা অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা আসে সরকার নিপীড়নমূলক কালো আইন করবে না। এতে কর্মচারীরা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে হবে। নেতারা বলেন, আইন করে আমাদের কণ্ঠরোধ করতে চায়। এটা স্বৈরাচারের দোসর আমলাদের কূটচাল। সরকারের উচিত হবে ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের ফাঁদে পা না দেওয়া। কর্মচারী নেতারা বলেন, অবশ্যই দোসর আমলাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে মৌন সমাবেশ করেছি। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার আমরা সভা করে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।